শীতের আগমনে খেজুরের রসের দেখা মিলে গ্রাম-অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায়। রাস্তার পাশে বেড়ে উঠা অসংখ্য খেজুর গাছ থেকে খেজুরের রস সংগ্রহ করে খেজুরের রস বিক্রেতা।
এই খেজুরের রস সংগ্রহের জন্য সংগ্রহকারীকে কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হয়। প্রথমে খেজুর গাছের কিছুটা নিচ থেকে রস সংগ্রহ করার স্থানটি কেটে নেয়। এবং সে স্থান থেকে সাধারণত পাঁচ দিন পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ করে।
ঠিক এভাবেই আস্তে আস্তে পর্যায়ক্রমে সংগ্রহের স্থানটি গাছের উপরের দিকে উঠতে থাকে। আর এভাবেই চলতে থাকে খেজুরের রস সংগ্রহের কার্যক্রম।
শীতের অত্যন্ত জনপ্রিয়! সকল মানুষের পছন্দের খেজুরের রস। এই রস সংগ্রহ করার পর কেউবা
হাড়ি ভর্তি রস নিয়ে বাজারে বিক্রি করতে যায়।
আবার কেউবা এই রসকে পাএে জাল দিতে দিতে মিঠায় তৈরি করে। এরপর বাজারে বিক্রি করে।
কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়! দিন যতো যাচ্ছে এই খেজুরের রস সংগ্রহকারী মানুষগুলো ততই যেন হারিয়ে যাচ্ছে। এর কারণ হচ্ছে মানুষ খেজুর গাছ কেটে পেলছে। ফলে খেজুর রস সংগ্রহকারী মানুষ-গুলো অন্য পেশায় চলে যাচ্ছে।
বিশেষ করে চাঁদপুরের! শাহরাস্তি উপজেলার রায়শ্রী দক্ষিণ ইউনিয়নের। আহম্মদ নগর,প্রসন্নপুর গ্রামে খেজুরের রসের আমেজ দেখা যেতো। কিন্তু কালক্রমে প্রসন্নপুরে এখন আর খেজুরের রসের সে আমেজ সচারচর দেখা যায়না।
ফলে এদিকে হারিয়ে যাচ্ছে শীতের মৌসুমের। সকলের জনপ্রিয় পছন্দের খেজুরের রস। শীতের আগমন ঘটছে কিন্তু আগের মতো খেজুরের রসের আমেজের দেখা মিলছে না।
তাই আমার দুঃখিতা মন বেদনাময় ছন্দে!
বলতে চায়; খেজুরের রসের একটুখানি!
স্বাদ গ্রহণ যেন প্রতিক্ষার সুবিশাল প্রহর।
তবুও প্রহর গুণে মিলছে নাকো!
সে স্বাদের শহর।
লেখক, ক্রীড়া সাংবাদিক ও সমাজকর্মী