মোঃ ইয়াছিন আরাফাত: প্রিয় বিদ্যালয়! খিলা বাজার উচ্চ বিদ্যালয়। এই প্রিয় বিদ্যালয়টি চাঁদপুর, জেলার শাহরাস্তি উপজেলার খিলা বাজার এর ঐতিহ্যবাহী ডাকাতিয়া নদীর তীরে অত্যন্ত মনোরম পরিবেশে অবস্থিত। এই প্রিয় বিদ্যালয় এর মধ্যে লুকিয়ে আছে আমাদের হাজারো অজানা স্মৃতি, স্মৃতিকথা। যা আজ আমি আনন্দ আর স্মৃতি কাতরতায় স্মরণ করছি। স্কুল জীবনের কত বন্ধু/বান্ধবী, কত দুষ্টমি, কত আড্ডা, কত গল্প, আনন্দ, বেদনা, রাগ-অভিমান দিয়ে শেষ করলাম জীবনের শ্রেষ্ঠ স্মৃতিময় অধ্যায়। স্কুল জীবন। আমাদের স্কুল জীবন এর একটি খারাপ অভ্যাস ছিলো টিফিনের সময় স্যারদের ফাঁকি দিয়ে স্কুল থেকে পালিয়ে যাওয়া, ক্লাসে নিয়মিত না আসা।
একসময় হঠাৎ করে কেমন জানি সব বদলে যাওয়া! পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়া, নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকা। এই বদলে যাওয়ার কারণ হিসাবে আমি বিশেষ ভাবে স্মরণ করছি শ্রদ্ধেয়,জাফর উল্যাহ স্যারকে। স্কুল জীবনের প্রিয় শিক্ষক হিসাবে এখন ও স্মরণ করি প্রিয় স্যারকে।
জীবনের সবচেয়ে বেশী সুন্দর, আনন্দময় ছিলো স্কুল জীবন। কলেজ জীবনের সাথে এই মধুর জীবনের অনেক ব্যবধান রয়েছে। আজ ভার্সিটিতে কতো বন্ধু আমাদের,কত আড্ডা আজ,তবুও যেন কিছু অসম্পূর্ণ! এসবের আজ কিছুই নেই, আছে কিছু কল্পনা স্মৃতিকথা! এসব স্মৃতিময় দিন গুলো আর কখনো ফিরে পাবো না।
হাহাকার করা হৃদয় যেন বলে উঠে, বিদায় বন্ধু! বিদায় শূন্য ক্লাসরুম! আমি আমার অবচেতন মন জানে – জীবন্ত স্মৃতিকথা প্রণয় লিপির প্রতিটি অক্ষর, “স্কুল জীবনের স্মৃতিকথা” এই আমার স্মৃতিতে সারাজীবন থেকে যাবে, অতি উজ্জ্বল হয়ে।
স্যারদের অক্লান্ত পরিশ্রম এর সুফল হিসাবে আমাদের খিলা বাজার উচ্চ বিদ্যালয় ২০১৪ এস.এস.সি পরীক্ষার্থীরা দিয়েছে রেকর্ড পরিমাণ রেজাল্ট। ১২ জন শিক্ষার্থী জি.পি.এ -৫ পেয়েছে।তার মধ্যে ১০ জন মেয়ে ২ জন ছেলে ২ জন ছেলের মধ্যে আমারো থাকার সৌভাগ্য হয়েছিল। এ পর্যন্ত কেউ এই রেকর্ড ভাঙ্গতে পারেনি।
মনে হয়, যা প্রিয় তা, খিলা বাজার উচ্চ বিদ্যালয় এর সময়কার স্মৃতিতেই রয়েছে। আর হয়তো ওমন মধুর স্মৃতি জীবনে কখনো হবে না।
একসময় যা ছিল – সত্যি, উজ্জ্বল, মধুময় – সবই আজ স্মৃতি!
লেখক, ক্রীড়া সাংবাদিক ও সমাজকর্মী