১২ ম্যাচ হারার পর অবশেষে জয় নিয়ে নিজেদের দলকে আগের মতো ফিরিয়ে আনলো পাকিস্তান।
পাকিস্তানি সাবেক ক্যাপটেন বর্তমান পাকিস্তানি প্রেসিডেন্ট ইমরান খান ম্যাচ জয়ের পরপরই টুইটারে অভিনন্দন জানালো এবং তার সাথে সাথেই সাবেক ক্রিকেটারেরাও মেতে উঠে এই জয় নিয়ে।সবাই খুশি হয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানালো।
এমন একটি ম্যাচ হয়েছে যেন এটা কোনো ফাইনাল বা সেমি ফাইনালের মতো। দুই দলের সমর্থকরা যেন প্রতিটি মুহূর্তে চিন্তিত হয়ে যায়। অবশেষে জয় হলো পাকিস্তানের।
বিশেষ করে আজকের ম্যাচে ব্যাটিংরা তাদের ঠিক পারফরম্যান্স ধরে রেখেছেন। আর অন্যদিকে বোলারদের মধ্যে কেউ কেউ তাদের সেরাটা দেখিয়েছেন। অর্থাৎ পাকিস্তানের বোলারদেরকে প্রশংসা করতে হয়।তারা সময়ের সুযোগে তারা তাদের সেরাটা কাজে লাগিয়েছে।আর স্পিন এবং পেইসারদের মধ্যে প্রথম দিকেই স্পিনরাই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছিল।অর্থাৎ স্পিনাররা প্রথমেই ইংলিশ টপ-ওর্ডারের ব্যাটিং-এর উইকেট নিয়েছেন।যদিও স্পিনাররা ম্যাচে অনেক অবদান রেখেছে তেমনিভাবে তিনজন দূর্দান্ত পেইসার খেলার মধ্যখানে এবং শেষ মুহূর্তে দলকে জয়ের সামনে এগিয়ে এনেছে।যাহা ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা তাদের বলে পরাস্ত হয়।
অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ ম্যাচ জয়ের পর উদযাপনের সময় তিনি হাত তুললেন এবং আকাশের দিকে তাকালেন। এমনকি পাকিস্তানের ভিড় তার চারপাশে পাগল হয়ে যায়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে পরাজিত হওয়ার পরও তাদের মনে পড়েছে অনেক বিষন্নতা।
ঐ দিন টিম ম্যানেজমেন্টকে সরফারাজ শর্ট বলের বিরুদ্ধে একাদশে তাদের যৌথ ব্যর্থতার কথা বলেছিলেন এবং তার এই বাণী আজকে সফল হয়েছে এবং একাদশে পরিবর্তন এনেছে।একাদশের পরিবর্তনের পাশাপাশি ব্যাটসম্যানদের অবস্থানও পরিবর্তন হয়েছে এবং এই পরিবর্তনে সবাই ভালো খেলায় পাকিস্তান কোচও খুব আনন্দিত।
ব্যাটসম্যানরা আজ তার এই কথা রাখতে পেরেছে। ঠিক ইমাম-উল-হক ও ফখর জামান একসঙ্গে বাবার আজম ও মোহাম্মদ হাফিজের মাধ্যমে এবং তারপর অধিনায়ক নিজেকে ৩৫০-এর কাছাকাছি রান আনতে পেরেছে। ৩৫০-এর টার্গেটে দ্বি-পাক্ষিক একদিনের ক্রিকেটে আদর্শ হতে পারে,কিন্তু বিশ্বকাপের তীব্রতা বিবেচনা করে এটি একটি কঠিন প্রস্তাবনা হয়ে দাঁড়ায়।কারন এর আগে বিশ্বকাপে কখনো এত রানের টার্গেটে ব্যাট করে জিততে পারে নি।তবে এখন থেকে সামনের ম্যাচগুলোতে তাদের পারফরম্যান্সটা ধরে রাখতে চায়।যেন তারা তাদের সামনের ম্যাচগুলোতে সফল হতে পারে।
আর অন্যদিকে পাকিস্তানি অলরাউন্ডার মোহাম্মদ হাফিজ ম্যাচ শেষে বলেন;-সবাই বিশ্বাস করে আমরা খেলা জিততে পারি। আমরা আগে ভালো ক্রিকেট খেলছিলাম কিন্তু আমরা গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে জয়ী ছিলাম না। আজ, সবাই সত্যিই অনেক আনন্দিত আমাদের এই বহুদিন পর জয় দেখে।
আমরা খুব আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। আমরা গতকাল ভালো অনুশীলন করেছি, একটি ভাল মিটিং ছিল এবং আমাদেরকে শুরু করার জন্য আমাদের একটি জয়ী কর্মক্ষমতা প্রয়োজন। বোলারদের স্কোর রক্ষা একটি মহান কাজ করেছেন ব্যাটসম্যানরা আজ তাদের সেরাটা দিয়েছে। প্রথম খেলা ভালো হয় নি,কিন্তু আমরা আজ আমাদের ক্ষমতা প্রদর্শন করলাম আমরাও ভালো একটা টিম।আমি আমার প্রিয় শর্টগুলো খেলতে চেষ্টা করছিলাম। এতে আমি অনেক খুশি।
আমি প্রথম বলটি আঘাত করেছিলাম, (আমি উইকেটটি নিচে নেমেছিলাম এবং সীমানা আঘাত করেছিলাম) – আমি ভেবেছিলাম কেন চাপ প্রয়োগ করা যায় না? কখনও কখনও খেলার জন্য চাপও সামলাতে হবে অর্থাৎ ঝুঁকি নিতে হবে এবং সত্যিই আমার জন্য এই খেলা কাজ করেছে আজকে। যখনই আমরা যুক্তরাজ্যে আসি,তখন আমাদের ভিড় থেকে ভালো সমর্থন থাকে। আমরা জানি আমাদের ভাল খেলার কারণ এটি আমাদের কাছে দ্বিতীয় ঘরের মতো, এবং আমি তাদের সমর্থনের জন্য ভিড়কে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমরা আগে ভালো খেলছিলাম, কিন্তু আমরা জিততে পারিনি, এবং এই জয় আমাদের অবশ্যই অনেক আস্থা দেবে।
সুতরাং বলা যায় যে,পাকিস্তান ক্রিকেট দল ২০১৯ সালের শুরু থেকে ভালো খেলতে পারে নি।যেমনঃ- অস্ট্রেলিয়া থেকে শুরু করে ইংল্যান্ড,ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে শুরুতেই হারতে হয়েছে বিশ্বকাপের আগে। এতো ম্যাচ হারার পর আজকে জয়ের মুখ নিজেদেরকে ঠিক আগের মতো ফিরিয়ে এনেছে তারা মনে করে।আর অন্যদিকে পাকিস্তানি সমর্থকরা এই জয়ের উন্মাদনায় উচ্ছ্বাসে উল্লাসিত।তারা খুবই খুশি।নিজের দলকে বহুদিন পর জিততে দেখে তারা খুব আনন্দিত।
লেখক, ক্রীড়া সাংবাদিক ও সমাজকর্মী