৩৩০ হলে গল্পটা অন্যরকম হতে পারতো – মাশরাফি

ফিল্ডিং ও বাজে বোলিংয়ের মাশুল দিয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গুনতে হয়েছে ৩৮৬ রান। যা কিনা বিশ্বকাপের ইতিহাসে ইংলিশদের সর্বোচ্চ রান, বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে ক্রিকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। আগে ব্যাট করে এত বড় সংগ্রহ দাঁড় করানোর পরই মূলত নিশ্চিত হয়ে যায় টাইগারদের পরাজয়।

দেখার বিষয় ছিল,এত বড় ইনিংস খেলতে পারবে বাংলাদেশ। চলতি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরিও তুলে নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু বাকিদের কাছ থেকে কোনো সমর্থন না পাওয়ায় ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের পরাজয়ের ব্যবধানটা বেশ বড় ছিল।

ইংল্যান্ডের করা ৩৮৬ রানের জবাবে দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে সাকিব আল হাসান সেঞ্চুরি করে ১২১ রানের ইনিংস খেলেন। তবু নির্ধারিত ৫০ ওভারের ৭ বল বাকি থাকতেই ২৮০ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। ১০৬ রানের বড় ব্যবধানের জয়ে হাসিমুখে মাঠ ছেড়েছে স্বাগতিকরা।

আর ম্যাচ শেষে টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার কণ্ঠে ফুটে উঠলো হতাশার চাপ।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি জানিয়েছিলেন ২০-৩০ রানের আক্ষেপের কথা। আর এ ম্যাচে মনে করছেন অন্তত ৫০ রান বেশি করে ফেলেছে ইংলিশরা।

তাই তো ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘আমি মনে করি ব্যাটসম্যানদের কাছে ৩৮৭ রান তাড়া করতে চাওয়া অনেক বড় চাহিদা হয়ে যায়। আমরা ইংল্যান্ডের ইনিংসের প্রথম ৪-৫ ওভার শুধু ভালো করেছি। এরপর তারাই পুরো ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ করলো। আমরা জানতাম যে ম্যাচে ফিরতে হলে “রয়ের” উইকেট নিতেই হবে।

এসময় টসে জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যায় মাশরাফি বলেন,‘এ পিচটা প্রায় দেড়দিনের বেশি সময় কভার দিয়ে ঢাকা ছিল। তাই আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিতে আমরা দুইবার ভাবিনি। মাঝেমধ্যে উইকেট নিতে হলে ভাগ্যও প্রয়োজন হয়।’

মাশরাফি জানান, তার দল ২৮০ রানের অলআউট হলেও, ইংল্যান্ডের সংগ্রহটা যদি ৩৩০ রানের আশেপাশে হতো, তাহলে ম্যাচের গল্পটা অন্যরকম হতে পারতো। এসময় সাকিব আল হাসানকে তার প্রাপ্য কৃতিত্ব দিতেও ভোলেননি টাইগার অধিনায়ক।

তিনি বলেন, ‘সত্যি বললে ওরা যদি ৩৩০ রানও করতো, তাহলে আমাদের রান তাড়ার গল্পটা অন্যরকম হতে পারত। তিন নম্বরে সাকিব আল হাসান দুর্দান্ত ব্যাটিং করছে। তার বোলিংটাও আমাদের অনেক কাজের। এখনো ৬টা ম্যাচ বাকি আছে। আশা করি সেগুলোতে ঘুরে দাঁড়াতে পারবো আমরা। অনেক গুরুত্বপূর্ণ সে ম্যাচগুলো।’