মা!ছোট্র একটা শব্দ, কিন্তু এর পরিধি বিশাল! সৃষ্টির সে আদিলগ্ন থেকে মধুর এই শব্দটা শুধু মমতার নয়, ক্ষমতার ও যেন সর্বোচ্চ আধার। তিনিই হচ্ছে আমাদের গর্বধারিনী “সংগ্রামী মা”।
পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়স্থল “মা”! জন্মদাএী হিসাবে আমার,আপনার সকলের জীবনে মায়ের স্থান সবার উপরে। তাই তাকে শ্রদ্ধা,ভালোবাসা জানাতে হয়তো কোন বিশেষ দিনের প্রয়োজন নেই। তারপরও আধুনিক বিশ্বে মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার’টি’কে”বিশ্ব মা দিবস “হিসাবে পালন করা হয়।এই দিবস’টি’র সূএপাত হয় ১৯১৪ সালের ৮ই মে।বছরের অন্য দিনের তুলনায় এই দিনে “মা”কে আলাদাভাবে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। বিভিন্ন উপহার দেওয়া হয়!আচ্ছা সত্যি করে বলুন তো,মায়েদের কি আলাদাভাবে উপহার এর প্রয়োজন পড়ে? আমার মতে তাদের জন্য আলাদা উপহার এর প্রয়োজন পড়ে না।কারণ,তারা শুধুমাত্র সন্তানের মুখ থেকে “মা” ডাক’টি শুনতে পেলে জীবনের পরম উপহারটি পেয়ে যান।
পৃথিবীর সবচেয়ে দূঢ় সম্পর্কের নাম ‘মা’! পৃথীবীর সবচেয়ে পবিত্র ও মধুর সম্পর্কের নাম ‘মা’!মায়ের প্রতি ভালোবাসার কথা লিখে কিংবা বলে বুঝানো অসম্ভব। সেই “সংগ্রামী মা’য়ের “গর্ভে সন্তানের’দশ ‘মাস ‘দশ’দিন দরে গর্ভধারণ এর কষ্টের তীব্রতা ভাষায় প্রকাশ করার ক্ষমতা আমাদের নেই। কতো সংগ্রাম করে আমাদের লালন – পালন করেছে। শিশুকালে ‘ মা ‘সন্তানের আড়াল হলে কেঁদে বুক ভাসায় শিশু। তখন ‘মা’সহজে বুঝে যায় ‘মা’কে ছাড়া সন্তানের করুন আবস্থা!ফুটে ওঠে সন্তান ও মায়ের করুণ ভালোবাসার টান।কিন্তু সন্তানরা বড় হলে পড়ালেখা কিংবা জীবিকার তাগিদে ছুটে চলে দূর-দূরান্তে।তখন ‘মা’ একলা বাড়িতে থাকে,আর সন্তানের আগমনের প্রহর গুনে! মা তখন চাইলে ও বুকের ধনকে কাছে রাখতে পারে না।’ মা’সে কষ্টের কথা কখনো খুলে বলে না তার সন্তানকে “এইভেবে “যদি সে কষ্ট পায়।সময়ের ব্যবধানে দুরন্ত কৈশোরের মতো ‘মা’কে আর ক্ষণে ক্ষণে জড়িয়ে ধরা হয় না।কিন্তু ‘মা’য়ের বুকটা সবসময় হাহাকার করে একটু খানি সন্তানকে জড়িয়ে ধরতে।মায়ের সে আবেগময় প্রত্যাশা আজ একবার পূরণ করতে পারেন! এই”বিশ্ব মা দিবসে”।’মা’কে জড়িয়ে ধরে বলুন! মাগো তোমায় অনেক… ভালোবাসি।💜 চলুন আজকের এই”বিশ্ব মা দিবসে”আমরা সকলে প্রতিজ্ঞা করি!পৃথীবীতে, যতো মা-বাবা ‘বৃদ্ধাশ্রমে’ আছে। সকলকে ‘বৃদ্ধাশ্রম’থেকে নিজেদের কাছে নিয়ে আসব।
জীবনের চরম সংকটকালে পরম সান্তনার স্থল হিসাবে যার কথা মনে পড়ে তিনি মমতাময়ী “জীবন “সংগ্রামী মা”।’মা’ই পৃথিবীর রং-রূপ, শব্দ-গন্ধ,চেনান-দেখান ও শিখান।ইসলাম ধর্মে ‘মা’য়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহস্ত! বলে আখ্যায়িত করেছেন।যুগে যুগে কবি ও সাহিত্যকগণ ‘মা’কে নিয়ে অনেক বন্দনা করেছেন ভালোবাসা বুঝিয়েছেন।
‘যে গর্ভে তোমাকে ধারণ করেছে সে গর্ভধারীণী ‘মা’য়ের প্রতি কর্তব্য ও শ্রদ্ধা নিবেদন কর – আল কোরআন।
‘মা ‘হলো পৃথিবীর একমাএ ব্যাংক,যেখানে আমরা আমাদের সব দুঃখ-কষ্ট জমা রাখি বিনিময়ে পাই শুধু অকৃএিম ভালোবাসা – হুমায়ুন আহমেদ।
যার ‘মা’ আছে সে কখনো গরিব নয় – আব্রাহাম লিংকন।
“পৃথীবীর সব আবেগী ভালোবাসার শেষ হলেও ‘মা’য়ের ভালোবাসা কখনো শেষ হয় না!কারণ ‘মা’য়ের ভালোবাসা একমাএ সত্যিকারের ভালোবাসা! ‘মা’ তোমাকে অনেক ভালোবাসি!পৃথীবীর সকল মাকে শ্রদ্ধা জানাই! পিতামাতার জন্য দোয়াঃ(রর্ব্বি হাম্হুমা-কামা-রব্বাইয়া-নী ছোয়াগীর)’হে আমার রব, তাদের প্রতি দয়া করুন যেভাবে শৈশবে তারা আমাকে লালন-পালন করেছেন।
“পৃথীবীতে মায়ের মতো আপন আর কেউ নেই!’মা’য়ের স্নেহ ভালোবাসা আতুলনীয়! ‘মা’য়ের ঋণ কখনো শোধ হবে না।তাই যতদিন ‘মা’বেঁচে থাকবে, ঠিক ততদিন ‘মা’কে সম্মান ও শ্রদ্ধা নিবেদন করুন।
“পৃথিবীর প্রতিটি ‘মা’হাজার বছর বেঁচে থাকুক তার প্রাণ প্রিয় সন্তানদের মাঝে।সালাম ও বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই পৃথীবীর সকল ” সংগ্রামী ‘মা’য়েদের।
লেখক, ক্রীড়া সাংবাদিক ও সমাজকর্মী