অনেক দিন যাবত একটা ভীষন ইচ্ছা আমাকে তাড়া দিয়ে বেড়াচ্ছে, বাংলাদেশের কোন গ্রামে গিয়ে থাকবার ইচ্ছা। অল্প সময়ের জন্য নয়, অনেকটা সময়ের জন্য, সম্ভব হলে বাকিটা জীবন!!
এখানে রাস্তা দিয়ে হাটবার সময় প্রায়ই মনটা চলে যায় সেই দূর পাড়াগায়ের ঘোমটা পরা বধুদের মাঝে, যারা ঘরের বাইরে বসে মাটির চুলায় রান্না করছে, কাঠের টুকরা দিয়ে আগুন ধরাচ্ছে, আর বাচ্চাগুলি মায়ের পাশে বসে আছে গরম ভাতের অপেক্ষায়!
মনে মনে ওদের পাশে গিয়ে বসি, ওদের সাথে কথা বলি, গল্প করি….সন্ধ্যায় ঘরের ভেতরের হারিকেনের আলো আর বাইরের অন্ধকারের ঝি ঝি পোকার ডাক, আকাশ ভরা তারা….মনকে কেমন যেন উতলা করে দেয় !
মনটা চলে যায় চারিদিকের সবুজ ধানখেতে অথবা হলুদ শর্ষে খেতে, শাপলা ভরা থৈ থৈ করা সেই পুকুর!! নানা বয়সী ছেলে মেয়ে দের হাটে ঘাটে দৌড়াদৌড়ি আর পুকুরে ঝাঁপাঝাঁপি !! নদীর পাড়ে যেয়ে মন গেয়ে ওঠবে, ” মাঝি নাও বাইয়া যাও ও মাঝি পাল ওড়াইয়া দাও..” অথবা ” পদ্মার ঢেউ রে..”!
ভোরের বেলা শিশির ভেজা শেফালী ফুল কুড়ানো আর ঝড়ের সময় কাঁচা আম কুড়ায় ভর্তা!! ইস কবে যাব বা মেতে পারবো, কিংবা আদৌ কি আর যাওয়া হবে ? ইচ্ছা গুলোতো একটুও কঠিন না আর কল্পনা গুলিও অবাস্তব না, তাহলে স্বপ্ন পূরণে এত বাঁধা কেন ??