সম্প্রতি প্রায় প্রতিটি পত্রিকায় কয়েকটি সংবাদ ছাপা হয়েছে যা হয়তো আমাদের অনেকের নজর কেড়েছে। সেগুলোর মাঝে- শহর ছেড়ে মানুষ এখন গ্রামে ফিরছে এবং সরকার রিজার্ভ থেকে ঋণ নিতে চাইছে- অন্যতম সংবাদ।
ঋণের কথা মনে হলে কিছু ছবি আমরা মনের পর্দায় ভেসে ওঠে। এর মাঝে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের ২০৩৯ নম্বর কক্ষের কথা মনে পড়ে। আমাদের প্রিয় শিক্ষক অধ্যাপক রওশনারা আপা এখানে আমাদের ভারতী দর্শনের ক্লাস নিতেন। তিনি এই ক্লাসে চার্বাক নামে একটি ভারতীয় দার্শনিক সম্প্রদায়ের কথা শোনাতেন। যাদের মিল আছে প্রাচীন গ্রিক দার্শনিক এপিকিউরিয়ানদের সঙ্গে। কয়েক দিন আগে আমার এক সহকর্মী ওই এপিকিউরিয়ানদের লেখা বই চেয়ে অনুরোধ পাঠিয়েছেন। এই চার্বাক-এপিকিউরিয়ানরা যে নীতিদর্শন দিয়েছেন তা খুবই আনন্দদায়ক। তারা বলতেন- ঋণ করে হলেও ঘি খাও। তারা বলতো পান, সুপারি ও চুন মেশালে যেমন লাল রং হয়, তেমনি চেতনা বিভিন্ন পদার্থের রাসায়নিক ক্রিয়ার ফল। সুতরাং, তাদের কথা মানলে চিরন্তন সত্য বা নৈতিকতা বলে কিছু নেই- যেমন চিরন্তন নৈতিকতার কথা জার্মান নীতিদার্শনিক ইমানুয়েল কান্ট ভাবতেন।
ঋণ করে হলেও ঘি খাও আমার প্রবন্ধের শিরোনাম হলেও, আমি এখানে ঋণ করে ঘি খাওয়ার কথা বলছিনা। আমি বলতে চাই ঋণ ভাল কাজেই- ব্যবহার করা হোক-তথা প্রকৃত উন্নয়নে যেন ব্যবহার করা হয়। ঋণ যেন দরিদ্র মানুষের বোঝা না হয়। আমরা যেন চার্বাক না হই, যেমন কিনা প্রকল্প নিয়ে প্রথমে পাজেরো জিপ কেনা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার পর প্রায় গ্রামের বাড়িতে যেতাম। সকাল বেলায় রোদ উঠোনে না উঠতেই বাইরের মানুষের আগমন ঘটতো। মাতবর সাহেবের কাছে জানতে চাইলে, বলতো গ্রামের ছোট ভাইদের কথা। তারা নাকি ঋণ নিয়েছে- ক্ষুদ্র ঋণ বা মাইক্রো ক্রেডিট। যা আয় হয় তাতে সংসার চলে না। সুতরাং মাইক্রো ক্রেডিট !
তখন আরও মনে পড়তো মাইক্রো ক্রেডিট এর জনক ডক্টর ইউনুসের কথা। আমার এক রুমমেটের কথা এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট জেনারেল এরশাদের কথা। এরশাদ সাহেব চিন্তিত হয়ে পড়তেন যখন ঋণ এর জন্য বিশ্ব ব্যাংক প্যারিসে মিটিংয়ে বসতো।
আমার রুম মেটের BCS এর ভাইভার কার্ড দিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল থেকে সিঙ্গাইর উপজেলাতে গিয়ে তার কাছে শুনেছিলাম কিভাবে গ্রামীণ ব্যাংক তার মতো দরিদ্র তরুণকে ব্যবহার করে শোষণ করে। ক্ষুদ্র ঋণদাতারা আমার ভাইদেরকে শোষণ করছে দেখে ভালো লাগেনি। চেষ্টা করেছি ওরা যাতে সুদের হাত থেকে বাঁচতে পারে। সুদ দেয়া ও নেয়া পাপ। ভুলেই গেছে সবাই। আল্লাহর অশেষ রহমত আমাদের অনেকে এখনো সুদমুক্ত জীবন যাপন করতে পারে।
বিশ্ব ব্যাংক আমাদেরকে নানা শর্তে লোন দেয়। সেসব শর্ত পূরণ করে আমরা কি উন্নয়ন করেছি তা নিয়ে গবেষণা করলেও তা প্রকাশ করা যাবে কিনা জানি না। ওইসব উন্নয়ন তহবিল থেকে কয়েকটি হলুদ খাম এবং প্যাকেট বিরিয়ানি/চায়নিজ খাওয়া পেয়েছি। নিতে বা খেতে মন চায়নি। আশপাশের অভাবি মানুষদের দিয়ে দিয়েছি। কেমন জানি একটি পাপ বোধ তখন মনে জেগেছে।
তবে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব ব্যাংকে চ্যালেঞ্জ করে নির্মাণ করছেন পদ্মা সেতু। নিজের টাকায় নিজেদের উন্নয়ন। গর্বে ভরে আছে মন। নেত্রী আমাদের প্রাণের কথা বোঝেন। বিশ্ব দরবারে এখন আমরা ভিক্ষুকের জাতি নই। বঙ্গবন্ধু আমাদের ভৌগলিক ও রাজনৈতিক স্বাধীনতা দিয়েছেন, প্রিয় নেত্রী আমাদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা দেবেন বলে জাতি আস্থা রাখে।
করোনাভাইরাস আমাদের নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছে। যে উন্নয়ন আমাদেরকে নিরাপত্তা দিতে পারে না-সে উন্নয়ন আমরা চাই কি? যে উন্নয়ন আমাদেরকে অপরের কাছে মাথা নিচু করে চলতে বাধ্য করে সে উন্নয়ন আমরা চাই কি? মানুষ গ্রামে ফিরে যাচ্ছে। এটি কেন আনন্দর সংবাদ নয়?
গ্রাম হবে শহর। এটা যদি হয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন তাহলে এই গ্রামে ফেরা আমাদের জন্য উন্নয়নের সোপান হতে পারে। গ্রামে ফেরাকে ভাটির টান না ভেবে, এটাকে গ্রাম উন্নয়নের জোয়ারে পরিণত করা যায় কি?
আমার এক বন্ধু মিরপুর থাকে। তাকে প্রশ্ন করলাম মেট্রোরেলের কাজ কি চলছে। সে বললো খুব একটা না। আমার প্রশ্ন – মেট্রোরেলের মতো শহর উন্নয়নের জন্য কি রিজার্ভ থেকে ঋণ নেয়া হবে? এখনোও কি একমাত্র ঢাকা নগর উন্নয়নই আমাদের স্বপ্ন?
যদি তাই হয় তবে “গ্রাম হবে শহর” একটি স্বপ্ন থেকে যাবে চিরদিন? তাহলে, আজ যেমন ৬৪টি জেলার মাঝে ১৭ জেলার হাসপাতালে ICU বেড আছে- তেমনি রয়ে যাবে আমাদের উন্নয়ন? জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় তাড়াহুড়ো করে তাদের ১৫০০ কোটির সব গুলো হল নির্মাণ শুরু করেছে, যাতে আবার উন্নয়ন বন্ধ হয়ে না যায়।
যে উন্নয়ন কেরানি গড়বার ক্ষেত্র বিস্তর ঘটায়, অথবা উন্নয়নকে কেন্দ্রীভূত করে তোলে, ন্যায় অধিকার বঞ্চিত জনপদের সংখ্যা বাড়িয়ে – সে উন্নয়ন কি টেকসই? ঢাকা ও তার আশপাশে যেভাবে উন্নত হয়েছে তা কি গ্রহণযোগ্য? সুষম উন্নয়ন কি একটি ভুল ধারণা? প্রশ্নগুলোর উত্তর দেয়া খুব সহজ নয়।
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল একজন আরবান প্ল্যানারের সঙ্গে কাজ করবার। ৭০ দশকে তিনি চাকরি জীবনের প্রথম দিকে ছিলেন লন্ডন শহরের উন্নয়ন কাজে নিয়োজিত। পরে নগর পরিকল্পনা বিভাগে মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৫ বছর শিক্ষকতা করেছেন। এখন অবসরে বসে উন্নয়ন ও পরিকল্পনার উপর একটি বই লিখছেন বিশ্বের সেরা শহরের পাশে বিশাল প্রশান্ত মহাসাগরের দিকে তাকিয়ে।
বরেণ্য এই নগর পরিকল্পনার অধ্যাপকের কাছে আমার প্রশ্ন ছিল – একটি পুরোনো শহরকে তিলোত্তমা করা ভালো- না কি নতুন একটি পরিকল্পিত শহর বানানো ভালো? তিনি বলেছিলেন – নতুন শহর বানানো ভালো। নগর পরিকল্পনা সম্পর্কের আলোচনায় তিনি আমাদেরকে Marshall Berman একটি বই পড়তে বলছিলেন। Marshall Berman “All That Is Solid Melts Into Air The Experience of Modernity” আধুনিকতার শ্রেষ্ঠতম বই হিসাবে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত। আধুনিকীকরণের অভিজ্ঞতার একটি ক্যালিডোস্কোপিক যাত্রা, কোটি কোটি মানুষকে পুঁজিবাদী বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়েছিল এমন চঞ্চল সামাজিক পরিবর্তন, এটি শিল্প, সাহিত্য এবং আর্কিটেকচারে আধুনিকতার অন্বেষণকে আন্তরিকভাবে অন্তর্নিবেশ করে এবং বই আধুনিক চেতনার এক চকচকে অন্বেষণ (All that Is Solid Melts into Air is widely acclaimed as one of the greatest books on modernity. A kaleidoscopic journey into the experiences of modernization, the dizzying social changes that swept millions of people into the capitalist world, it dexterously interweaves an exploration of modernism in art, literature, and architecture and is a dazzling exploration of modern consciousness.). বইটি পড়ে মনে হয়েছে –
পুরোনো শহরকে তেলতেলা না বানিয়ে নতুন শহর বানানো ভালো। পুঁজিবাদ বদলে দিয়েছিলো বিশ্বকে, আর এবার করোনাভাইরাস বদলে দিয়েছে আমাদের ভাবনাকে। সেই বদলে দেয়া পৃথিবী নতুন করে সাজাতে “গ্রাম হবে শহর” একটি আদর্শ। গ্রামে ফেরাকে আমি তাই ইতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে চাই। আর এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর গ্রামে হবে শহর ধারণাটি আমার ভালো লেগেছে। সেজন্য ঋণ করে হলেও ঘি খাও দর্শন সমর্থন করছি, পরাধীনতা বা দাসত্বকে নয়।
গতকাল এক ফেসবুক বন্ধু একটি ছবি দিয়েছেন – ছবিটি ৬ লেনের এক্সপ্রেসওয়ে-ঢাকা-মাওয়া সড়ক। ছবিটি দেখে এবং সাম্প্রতিক কালে প্রকাশিত সংবাদগুলো দেখে আমার মনে প্রশ্ন জেগেছে: রিজার্ভ থেকে ঋণ নেয়া হবে কোন প্রান্তে উন্নয়নের জন্য-ঢাকা না মাওয়া প্রান্তে? অর্থাৎ, গ্রামকে শহরে উন্নয়ন, না কি ঢাকা শহরকে তিলোত্তমা করবার জন্য? খুব জানতে মন চায়।
উন্নয়ন নিয়ে কথা বলতে এক মাননীয় মন্ত্রীকে বলেছিলাম – আপনার আসনটি একটি বিভাগীয় শহরে, আপনি কি এমন একটি হাসপাতাল করতে পারেন না (রাষ্ট্রীয় অর্থে)- যাতে ওই শহর থেকে আর কাউকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে না যেতে হয়। তিনি আমাকে ভুল বুঝেছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন ওনার নিজের টাকায় হাসপাতাল করতে বলছি। আমি স্বনির্ভর বিভাগীয় শহরের কথা বলছিলাম। আমি আরেক মন্ত্রীকে বলেছিলাম আপনার শহরে সবই আছে, কেবল বিমান বন্দরটি আন্তর্জাতিক নয়। তিনি আমার কথা বুঝে উঠতে পারেননি- কেন আন্তর্জাতিক বিমান ঢাকার বাইরে দরকার; সেটা যদি উনি বুঝতেন।
আরেক মাননীয় মন্ত্রীকে বলেছিলাম – স্যার আপনার শহরে জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি বিশ্ববিদ্যালয় চাইতে পারেন কি? তিনি খুব রেগে গিয়ে বলেছিলেন – আপনি কি আমাকে অর্ডার করছেন? আমি বলেছিলাম, স্যার আপনি আমার বাবার মতো। বাবাকে সন্তান কিছু বললে সেটা কি আদেশ হয়ে যায়? জনগণ তাদের দাবি জানালে যদি আদেশ হয়ে যায়, তবে জনগণ মুখ ফিরিয়ে নেয়! কোনো একজন সাবেক মন্ত্রীকে একজন নাগরিক একটি ভয়ের কথা বলেছিলেন ভালোবাসা থেকে। ওই মন্ত্রী মহোদয় সেটাকে বলেছিলেন তাকে নাকি হুমকি দেয়া হয়েছে। এভাবে যদি নাগরিকের বেদনাকে উল্টো বোঝা হয় তাহলে কিছু আশা করা যায় কি?
আশা করি আমাকে ভুল বুঝবেন না কেউ। জনগণকে বোঝার ক্ষমতা কি সকলের থাকে? আজ আমার এই লেখা যাতে কারও জন্য আদেশ না মনে হয় – সেজন্য খোদার কিরে করে বলছি- আমি কোনো বিশেষজ্ঞ নই – আমি অতি সাধারণ একজন মানুষ- অবসরে সময়ে বসে আমার উন্নয়ন ভাবনাকে লিখছি। কাউকে কষ্ট দেয়ার জন্য নয়।
গ্রাম হবে শহর – যদি এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন হয় থাকে, তবে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে প্রতিটি উপজেলা হাসপাতালে ICU বেড থাকবে বলে আমরা বিশ্বাস। আর সেজন্য যদি রিজার্ভ থেকে ঋণ নেয়া হয়, তবে সমর্থন কেন করবোনা? কারণ যারা বিদেশ থেকে টাকা পাঠায় তারা গ্রামের মানুষ। উপজেলা গ্রামের রাজধানী , ঢাকা নয়।
অর্থাৎ, একটি জেলা শহরে একটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় গড়বার জন্য, একটি গ্রামে একটি বিদ্যালয়ের জন্য, বিশ্ববিদ্যালয়- স্কুল ছাত্রদের ইন্টারনেট সুবিধা দেয়ার জন্য যদি ঋণ নিতে হয়, তবে কারো আপত্তি গ্রহণযোগ্য হবে না।
কিন্তু যে উন্নয়ন বন্ধের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আন্দোলন করে, যে উন্নয়নের টাকা জোগাতে আরবের মরুপথে আমার ভাই জীবন পানি করে, সেই গরিবের রক্ত পানি করা টাকা কিংবা মালায়শিয়ার জঙ্গলে মশার কামড়ে হারিয়ে যাওয়া আমার ভাইয়ের টাকা দিয়ে- পুরোনো কোনো শহরকে তিলোত্তমা বানাবার উন্নয়ন, কিংবা শুদ্ধ চিন্তার মানুষদের অপমান করবার চিন্তা থেকে নেয়া উন্নয়ন পরিকল্পনা (যদি কারো মনে থাকে) – তবে সেটা নৈতিক উন্নয়ন হতে পারে না !
ওই গ্রামের মানুষগুলো -যাদের ঘামে -রক্তে অর্জিত রিজার্ভ- তা যেন তাদের উন্নয়নে ব্যয় হয়। এটা তাদের হক। তারা যেন ICU পায় , ভ্যাকসিন পায় সেটাই আমাদের কাম্য। তাদের সন্তানের যাতে শিক্ষা পায় সেটাই ন্যায় বা সোশ্যাল জাস্টিস।
সুষম উন্নয়ন, গ্রামের উন্নয়ন, পল্লী উন্নয়ন, মফস্বল শহর উন্নয়ন, স্বাস্থ্য সম্মত নগর জীবন হোক এবারের উন্নয়ন ভাবনা। আর এসবই আছে “গ্রাম হবে শহর” স্বপ্নকল্পর মাঝে।
বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন – “নগরের নটি চলে অভিসারে “- সেই থেকে আমার একটি ভুল ধারণা- নগর মানে দাসদের অন্ধকারে আনাগোনা। বিশ্বের সেরা শহর মেলবোর্ন এসেও উপলব্ধি হয়েছে উন্নয়ন কিভাবে দরিদ্রদেরকে দাসে পরিনিত করেছে । Black Lives Matter আন্দোলন কেন হয়। দাসত্ব মুক্ত হয়ে মানুষ গ্রামে ফিরছে দেখে আমারদেরতো ভালো লাগার কথা !
“গ্রামে হবে শহর”- এটাই আমাদের শুভ কামনা – তবে যেন কোনো মানুষ স্বাধীনতা হারিয়ে দাসে পরিণত না হয়, সেটাই হোক আমাদের উন্নয়ন কামনার নৈতিক ভিত্তি। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের দুয়ার খুলে যাক কেবল শুদ্ধ ন্যায় বিলিয়ে দিতে- দরিদ্রদের টাকা যেন তাদেরকেই দাসে পরিণিত না করে।
অধ্যাপক ড. ফরিদ আহমেদ – শিক্ষক, দর্শন বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।