ফিরে যাবো আপন নীড়ে!
অথ্যাৎ নিজ গ্রাম প্রিয় জন্মভূমিতে ফিরে চলা। এই ভাবনা গুলো ভাবলে সত্যি অনেক ভালো লাগে। অনেক দিন পর নিজ গ্রাম প্রিয় জন্মভূমিতে ফিরে চলার মজাই অন্যরকম। এই ফিরে চলা যেন সবার মধ্যে আনন্দের জোয়ার বয়ে আনে।
জীবিকার তাগিদে মানুষকে ছুটে চলতে হয় দূর-দূরান্তে। ছেড়ে যেতে হয় আপন নীড়। আপন মানুষ গুলোকে। সবাইকে ছেড়ে ছুটে চলা টা কষ্টের হলে ও। তা মেনে নিতে হয় হাঁসি মুখে। মনটা শুধু চায় কখন সময় পাবো? তখনি ফিরে যাবো আপন নীড়ে। আপন ঠিকানায়! আপন মানুষ গুলোর কাছে।
এই নীড়ে ছুটে চলার বিভিন্ন সময় আমরা পাই। কিন্তু বিশেষ করে আনন্দময় সময় বছরে দুই বার পাওয়া যায়।
পবিত্র ঈদুল ফিতর,পবিত্র ঈদুল আজহা।এই দুই ঈদের সময়। গ্রাম থেকে শহরে ছুটে চলা মানুষ গুলো সবাই নিজ নীড়ে ফিরে চলে।কেউবা চাকরি থেকে ছুটি পেয়ে।কেউবা স্কুল,কলেজ, কিংবা ইউনিভার্সিটি থেকে ছুটি পেয়ে।পরিবারের সাথে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে আপন নীড়ে ছুটে চলে। এভাবে ঈদের আগ পর্যন্ত চলতে থাকে আপন নীড়ে ছুটে চলার সমাগম।
প্রিয় জনের আগমনের কথা শুনে অপেক্ষায় থাকে তার প্রিয় জন।সন্তানের জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনে তাঁর বাবা-মা। কতো কিনা আয়োজন করে রাখে সন্তানের জন্য। এভাবে তাঁরা তাদের সন্তান ও প্রিয় জনের সাথে ‘ঈদ’ আনন্দ উপভোগ করে।
‘ঈদের’ আগমনে উৎসবে মেতে উঠে গ্রাম আঞ্চল গুলো। শহরমুখী মানুষ গুলো গ্রামে আগমনে।পরিপূর্ণ হয়ে উঠে গ্রাম আঞ্চল।’ঈদ’আনন্দ শহরের তুলনায় গ্রামে বেশ জমে উঠে। সকল বন্ধু – আত্মীয় স্বজনের সাথে ‘ঈদ’আনন্দ! সে জেনো এক মিলন মেলায় পরিণত হয়।ঈদের ছুটি গুলো গ্রামে এভাবে কাটানো হয়। ছুটি শেষে আবার নিজ নিজ কর্মস্থলে ফিরে চলা।তখন গ্রাম আঞ্চল নীরব হয়ে পড়ে।
সকলে যেন ‘ঈদে’! নিজ আপন নীড়ে।’আল্লাহ’র রহমতে সব বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করে। যেন নিরাপদে গন্তব্য স্থলে পোঁছাতে পারে।সকলের মা- বাবা ও প্রিয় জনের কাছে। সে কামনা ব্যক্ত করছি। ছুটে চলুক আপন নীড়ে সকলের নিজ গ্রাম প্রিয় জন্মভূমিতে।যেখানে লুকিয়ে আছে শৈশব এর হাজারো স্মৃতি।
আপন নীড়ে ভ্রমণ হোক শুভ ও প্রাণবন্ত! সকল ভ্রমণগামী মানুষের জন্য দোয়া ও শুভ কামনা রইল।
লেখক, ক্রীড়া সাংবাদিক ও সমাজকর্মী