শুভ সকাল বন্ধুরা, আমরা
আমরা ঠিক মতো পৌঁছে গেছি, রাতে সমস্ত কোয়ারেন্টাইনের কাগজপত্র রেডি করে যখন হোটেল রুমে এসেছি তখন অনেক রাত, পথ শ্রমের ক্লান্তি আর নতুন অভিজ্ঞতার জন্য নিজেকে তৈরী করতে করতে খুব ক্লান্ত ছিলাম।
আমার মোবাইল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল চার্জ বিহীন। আর আমার এনার্জির বাতিও নিভে গিয়েছিল। আজ সকালে যখন মোবাইল ওপেন করলাম, মনটা আনন্দে ও অবসাদে ভরে গেল, কান্না ভেজা চোখে মেলবর্নের হোটেল ক্রাউনের জানালা দিয়ে বাইরে তাকাতেই দেখলাম আমি আর আপনাদের পাশে নেই, অনেক দূরে, শুরু হয়ে গেছে আমার ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন জীবন, আমার কন্যারা অনেকদিন পর ওদের চেনা স্বাদের খাবার পেয়ে আনন্দে আত্মহারা। ওদের আনন্দ আমিও হারিয়ে গেলাম।
যারা আমার খোঁজ নিয়েছেন আমি ঠিক মতো পৌঁছালাম কিনা, তাদের আন্তরিকতার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। সরি দেরী হলো জানাতে।
আমরা সুস্থ আছি ভালো আছি। আমাদের জন্য দোয়া করবেন ॥
আমাদের কোয়ারেন্টাইন – ডে – ২
অনেকেই জানতে চেয়েছেন কি কি খেতে দেয়, যদিও করোনা কালে খাবার পোষ্ট করা খুব পচা কাজ, তবুও আপনাদের অনুরোধে পোষ্ট করছি,
বেবীদের জন্য আজকের সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবার। এ যেন আলাদিনের আশ্চর্য কুপি ! খাবার শেষই হয় না, আপনারা ইমাজিন করতে পারেন, জাস্ট গতকাল আর আজকে এই গুলো হাবিজাবি খাবার দিয়েছে, এরপরেও আছে কলা, আছে পানি, জুস, দুধ, আছে দ্ই, কাষ্টার্ড, আর জেলো, আরও আছে লান্চ ও ডিনারের মেইন ডিস ! আল্লাহ রক্ষা করো … এই খাবার ফেলেও দিতে কষ্ট হচ্ছে, আমাদের দেশের মানুষ না খেয়ে মরছে, কিন্তু পেট গুদামেও রাখতে পারছি না, বেবীরা অ্যাপল দেখলেই বলছে আবার অ্যাপল দিয়েছে কেন ?
পেষ্ট্রি আর ক্রোশেন্ট ব্রেড লাইক করে ওগুলো আসা মাত্রই সাবার করে দেয়। তারপর শুরু হয় দোকান দোকান খেলা। পুডিং আর দ্ই দেখলেই বলে ইয়াক ! আর আমাদেরকে তো ওরা মনে করে আমরা ছাগল, রোজ দুপুরে পাতা পাঠায়। মনে হয় আহা কত দিন ভাতের মুখ দেখি না। আর তো পারি না বাঙ্গালীর বায়না, ভাত ছাড়া মিটে না।
ভাত দে ভাই মরিস (Scott Morrison) ! ভাত দে
দার্শনিক বোধ তাড়িত সময় সচেতন নিষ্ঠাবান কবি। চলমান বাস্তবতাকে ইতিহাস-ঐতিহ্যের পরম্পরায় জারিত করে তিনি কাব্য রূপান্তরে অভ্যস্ত। কাব্য রচনার পাশাপাশি ক্ষেত্রসমীক্ষাধর্মী মৌলিক গবেষণা ও কথাসাহিত্য সাধনায় তাঁর নিবেদন উল্লেখ করার মতো। গবেষণাকর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত ফোকলোর ও লিখিত সাহিত্যঃ জারিগানের আসরে “বিষাদ-সিন্ধু” আত্তীকরণ ও পরিবেশন পদ্ধতি শীর্ষক গ্রন্থের জন্য সিটি-আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার ২০১২ অর্জন করেছেন।