বাতাসীর কাছে খোলা চিঠি

বাতাসী
কিছু বৃক্ষের
ডালপালা হয়
পাতা সবুজ হয়
রোদ হয়
মাথার উপরে;
ছায়া হয় না
ছায়া পড়ে না
প্রশান্তি থাকে না
নীচে – পড়ে না
না পাতার,
না ডালের কিংবা
ঘন মেঘের
শীতল ছায়া।

বাতাসী
পথ বা পথিক
বাউল কিংবা আগন্তক
ধোকায় পড়ে
ভালোবাসে বৃক্ষ
তার সবুজ দৃষ্টি
বালুকনায় ঝিকিমিকি
সোনা হয় না
কৃষ্ণ বৃক্ষ
অন্ধকার বিষ বাষ্পে
স্বাস প্রস্বাসে
দীর্ঘ হয়
রাত দিন।

বাতাসী
অন্ধকারের হাতছানি
কতটা ভঙ্গুর
কাঁচের হৃদয়
এই বৃক্ষ
কচু কাঁটা পড়ে যায়
কত সহজে;
কিছু কিছু
ভালোবাসার
আত্মঘাতী প্রতিজ্ঞারা
সাগর জল
প্রমোদতরী
গিলে খায়
স্বার্থের প্রেতাত্মারা।

বাতাসী
প্রশন্নপুরের বালি
একলা বাড়িটা
খিলা খালের
বাঁশের সাঁকো
ডাকাতীয়া পাড়ে
এ বটবৃক্ষ
ক্ষমা
করে না কেউ
কেউ না!

বাতাসী
হে প্রিয়তমা
হে অন্তর্যামী
অপরাধী আমি
মহা ভালোবাসার
মহা অকৃতজ্ঞতার;
মহা অপরাধীকে
তুমি ক্ষমা
করে দিও!

তুমি পারো
ক্ষমা করতে,
তুমিই একমাত্র
ক্ষমাকারী।