ঘনকালো মেঘে ছেয়েছে আকাশ
বাহিরে থাকার নেই অবকাশ
চারদিকে আজ ঝড়ের প্রকাশ
এলো আষাঢ়ের ধ্বনি, বাজে চারিপাশ৷
শুরু হল মেঘে অতিঘর্ষণ
বিজলি আলোক চোখে চমকান
হঠাৎ কাঁপিয়ে এলো গর্জন
থোকায় থোকায় বারিবর্ষণ৷
কখনো বা চালে শিলাকর্ষণ
দরজা খুলে চায় প্রতিক্ষণ
কুড়িয়ে হাতে নিয়ে কিছুক্ষণ
দেহে অনুভব শীত কনকন৷
পানির খেলায় ব্যাঙের প্রণাম
ঘেঙর ঘেঙর ডাকে অবিরাম৷
পথ-ঘাট আজ কাদা কদাচিত
সাবধান পায়ে ভুরু কুঞ্চিত
পিচ্ছিল খুব ভয় কিঞ্চিত
কখনো বা কেউ হয়ে যায় চিত৷
তরুলতা পেল রস আঞ্জাম
মাঠ-ঘাট হল পানি সমাগম
নদী-নালা পেল প্রাণ অনুপম
প্রকৃতি আজি নব উদ্যম৷
একটানা থাকে বৃষ্টি কখনো
মানুষ সবি ঘরে লুকানো৷
লাগাতার বারি প্রাত থেকে রাত
সূর্যি মামার নেই সাক্ষাত৷
ঋতু বর্ষায় ফোটে কদমফুল
অপরূপ সাজে হর্ষপ্রতুল৷
ছোট শিশু করে ছবি অংকন
আষাঢ় চিত্র করে অবলোকন৷
কত শত কবি করিল বর্ণন
ধরাতে আছে আবাস অগণন
ঋতুসাজ নাহি কোথাও এমন৷
দেওয়ান মোঃ ছাইফুদ্দিন৷ বাবার নাম মাওঃ ছালাহউদ্দিন দেওয়ান ও মায়ের নাম ছালেহা খাতুন৷ চাঁদপুর জেলার সদর উপজেলা, ফরক্কাবাদ গুলিশা গ্রামের দেওয়ান বংশের সন্তান৷ বর্তমানে অনার্স করছেন চাঁদপুর সরকারী কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে৷ ছোটবেলা থেকেই পড়াশুনার পাশাপাশি কবিতা, গজল-সংগীত ও আর্টিক্যাল লেখার প্রতি বেশ ভালোলাগা কাজ করে৷ বলতে গেলে, বরাবরই বাংলা সাহিত্যের প্রতি একটা ঝোঁক রয়েছে তার৷