পর জীবনের প্রথম প্রার্থনা

হাজারো চোখের জলে আমাকে  যে সাদা কাপড়ে চির নিদ্রায় সোয়ালে, তোমরা কি জানো? কত ইচ্ছা, কত পরিকল্পনা – কিছুই পূরণ করা হয়নি আমার। কোন পদচিহ্নই তো রেখে আসতে পারিনি আমি, তোমাদের, আমার ফেলে আসা পৃথিবীতে।

কত মূখ আশায় ছিল, আমি তাদের কথা বলবো বলে –
কত অক্ষম আশায় ছিল, আমি তাঁদের ক্ষমতা হবো বলে –
কত কুসংকার আশায় ছিল, আমি তাঁদের সু-সংস্কার হবো বলে –
কত অন্ধকার কালো ছিল, আমি তাঁদের আলো হবো বলে –

কত মুখে হাসি ফুটাতে পারতাম –
কত মনে শান্তি দিতে পারতাম –
কত আকাশে রং ছড়িয়ে দিতে পারতাম –
কত জীবনে জীবনের মানে হতে পারতাম –

হতে পারতাম তৃষ্ণার্থের ঠোঁটে জল।

হয়নি – নিজেকেই নিজে অগ্রাধিকার দিয়েছি সকল সময়।

তোমাদের পরে কেউ কি বুজতে পারবে, জানবে? আমিও ছিলাম তাঁদেরই একজন এই পৃথিবীতে। তাদের মতোই ভালোবেসেছিলাম এই পৃথিবীকে! মহান স্রষ্টার সকল সৃষ্টিকে।

হে, এই নশ্বর পৃথিবীতে আমার সামান্য একটু পদচিহ্ন, একটু পদচিহ্ন বাঁচাতে পারে আমায় সামনের, আগত সেই অবিনশ্বর জীবন যাপনের সকল প্রকার দুর্গতি থেকে।

দয়া করে স্রষ্টাকে বলো – আমাকে আরো অল্প কয়েকটা দিনের সময় দিতে।  প্লিজ। আমাকে এখনই শেষ গোসলটা দিয়ে দিও না।