কোরবানির ঈদ আনন্দ

মুসলমান সমাজের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। পবিত্র ঈদ-উল-আযহা। এই উৎসব নিয়ে চলতে থাকে নানা আয়োজন। কোরবানি’র অয়োজন সম্পূর্ণ করতে মেতে ওঠে মুসলিম জনতা।

কোরবানি দেওয়া সকলের জন্য বাধ্যতামূলক না।
ইসলামের বিধি-বিধান মোতাবেক! যাদের সামর্থ আছে, যাদের কোন ঋণ নেই। তারা’ই আল্লার নামে কোরবানি দিতে পারে।

আবার কেউবা সমাজ রক্ষার্থে। সমাজে লজ্জা পাবে ভেবে শত দেনার মাঝে ও কোরবানি দিয়ে থাকে। এটা কিন্তু মোটেও ঠিক নয়! সঠিক নিয়মে কোরবানি না দিলে কোরবানি কবুল হয় না।

কোরবানি ঈদ সামনে রেখে। দূর-দূরান্ত থেকে নানা
ধরনের কোরবানি’র পশু নিয়ে আসে বিক্রেতা’রা।
কোরবানি’র পশু ক্রয় করতে ব্যস্ত থাকে ক্রেতা’রা।
এবার বেশ জম-জমাট হয়ে ওঠে কোরবানি পশুর হাট। গ্রাম, শহরের, মহল্লার প্রত্যেক পশুর হাট যেন এক পরিপূর্ণ রূপ ধারণ করে।

পশুর হাট গুলো’তে নানা রং, নানা জাতের, পশুর আগমনে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। কেউবা নিয়ে আসে নিজের হাতে পোষা অতি আদরের গরু ও ছাগল। দরকষাকষি চলতে থাকে বিক্রেতা ও ক্রেতার মধ্যে।

কেউ অধিক লাভে বিক্রি করছে। আবার কেউবা লোকসানের প্রহর ও গুণছে। তবে পশুর লালন-পালন খরচ মিটিয়ে লাভের অংশ’টুকু আসলে’ই বিক্রেতা বিক্রি করে দিচ্ছে তার যত্নের পশুগুলো। এভাবে ঈদ এর আগ পর্যন্ত চলতে থাকে পশুর হাট।

কোরবানি’র পশু ক্রয় সম্পূর্ণ। এবার কোরবানি করার পালা। কোরবানি’র জন্য ক্রীত পশুর অবস্থা কি কখনো লক্ষ্য করে দেখছেন ?

কোরবানি’র জন্য ক্রীত পশু ঈদের আগের দিন তার মনে চলতে থাকে না ফেরার বেদনা। চোখের কোণে জমে থাকে একরাশ কান্নার চিহ্ন। যা দেখে আমাদের খারাপ লাগতে পারে। কিন্ত আমরা সে খারাপ লাগাটা আনন্দের মাধ্যমে উড়িয়ে দেয়। কারণ, ইসলামের সঠিক বিধি- বিধান মোতাবেক আমাদের কোরবানি করতে হয়।

কোরবানি দেওয়া সম্পূর্ণ। কোরবানি দেওয়ার পর গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কোরবানি’র মাংস সঠিক নিয়মে বন্টন করা।

তবে এই মাংস বন্টনের বিষয়’টি শহরের তুলনায় গ্রামে অনেক’টা ভিন্ন!

গ্রামে যেমন কোরবানি’র মাংস তিন ভাগ করে। একভাগ দরিদ্র মানুষের মাঝে বন্টন, অন্যভাগ দরিদ্র নিকটস্থ আত্নীয়-স্বজনের মাঝে বন্টন এবং অন্যভাগ নিজের জন্য রাখে।এবং সকল কোরবানি দাতা’দের পক্ষ থেকে সমাজের মসজিদে’র হুজুর এবং নিকটস্থ এতিমখানা’র মধ্যে মাংস বিলিয়ে দেয়।

গ্রামে যেভাবে কোরবানি দাতা’রা মাংস বন্টন করে গরীব-দুঃখী মানুষদের মাঝে। কিন্তু শহরের কোন
কোন কোরবানি দাতা’রা মাংস সঠিক নিয়মে বন্টন করলেও। বেশি’র ভাগ মানুষ সঠিক নিয়মে মাংস বন্টন করে না।

সর্বশেষ সকল কোরবানি দাতা’দের উদ্দেশ্য বলতে চাই। আসুন! আমরা ইসলামের নির্দেশনা, বিধি-বিধান অনুসরণ করে কোরবানি করি। এবং সঠিক নিয়মে দরিদ্র মানুষের মাঝে মাংস বন্টন করি।

এতে করে আল্লাহ যেন আমাদের সকল কোরবানি দাতা’দের কোরবানি যেন কবুল করে নেয়।

কোরবানি’র অ্যামেজে মেতে উঠে পুরো মুসলিম জাতি! কোরবানি হয়ে গেলে কি থাকে আর বাকী ?
গরিব-দুঃখী সবার মাঝে কোরবানি’র ভাগ দিও!
হাঁশি মুখে কাটে যেন কোরবানি’র দিনগুলো।
ঈদের হাঁশি ফুটে যেন সবার মুখে মুখে!
গরিব-দুখী নির্বিশেষে জড়িয়ে নিও বুকে।
ঈদ মোবারক ধ্বনি’তে যেন মুখরিত মন!
ঈদ মোবারক চলতে থাকুক সদা-সর্বক্ষণ।

শাহরাস্তি অনলাইন নিউজ এর পক্ষ থেকে সবাই’কে জানাচ্ছি ঈদ মোবারক!