সাম্প্রতিক বাংলাদেশের আলোচিত চরিত্রটির নাম প্রতারক শাহেদ। মূহুর্তে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে নিয়ে লক্ষ লক্ষ শব্দ লেখা হচ্ছে। পোষ্ট-পড়া হয়ে যাচ্ছে। কারন বাংলাদেশে এখন মূলধারার মিডিয়ার চাইতে সোশ্যাল মিডিয়ার জগত-প্রভাব বড়।
অথবা এটি শুধু এখন বাংলাদেশের মিডিয়ার সংকট-বাস্তবতা নয়। সারা দুনিয়াতেই মানুষ এখন দেশের মূলধারার মিডিয়ার অনলাইন সংস্করনের চাইতে ফেসবুক সহ সোশ্যাল মিডিয়ার পোষ্ট বেশি পড়েন-দেখেন।
সেখানেই এখন প্রধান সব মিডিয়ার রিপোর্ট-ভিডিও লিঙ্কও পাওয়া যায়। দেখা যায় টিভির লাইভ স্ট্রিমিংও। বাংলাদেশে এখন প্রতারক শাহেদ তেমন একটি খল চরিত্র। মানুষ আবার নায়ককে পছন্দ করলেও বেশি পড়ে-দেখে খল চরিত্রের আদ্যপান্ত।
কারন প্রতিটি মানুষের ভিতরে একজন নায়ক-একজন খল নায়ক উভয় চরিত্রই বিরাজ করে। যেহেতু গত কয়েকদিন ধরে প্রতারক শাহেদকে নিয়ে আমিও লিখেছি তাই তার অনেক আপডেট বিভিন্নভাবে আমার কাছেও চলে আসে।
বিদেশে থাকায় নানাকিছু সহজেও আসে। কিছু ভুলভালও আসে। যেমন সাবেক অর্থমন্ত্রীর বাড়ি বনানীতে। এসেছে ধানমন্ডি। আর সব ঘটনা ঠিক ছিল। শরম ঢাকতে সবাই ধানমন্ডি নয়, বনানী এটিকে ইস্যু করে শান্তনা পুরস্কার নিয়েছেন!
যেমন সর্বশেষ একটি গুজব ছিল শাহেদ, প্রতারক দ্য গ্রেট মৌলভীবাজারের শমশের নগর সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছে বা যেতে পারে! এই সতর্কতায় পুলিশি তৎপরতার এমন একটি নিউজও হয়েছে নানা মিডিয়ায়।
এর সত্য-মিথ্যার খোঁজ নিতে গিয়ে হাসতেও হয়েছে। প্রতারক শাহেদের এই শশুরবাড়ি ওই এলাকায়। এরজন্যে পলায়নপর জামাই শশুরবাড়ির এদিক দিয়ে পালাতে পারেন এমন ধারনা অনেকের হয়। নিউজটি খাওয়ানোও হয়েছে।
প্রতারক জামাইর শশুরবাড়ির এলাকায় এখন আবার অনেক রিসোর্ট। ছোট ছোট পাহাড়-টিলা আর সবুজের মাঝে দাঁড়ানো এসব অনিন্দ্য সুন্দর রিসোর্ট সমগ্র এখন দেশে ভীষন জনপ্রিয়। কারন দেশের মানুষের হাতে এখন কাঁচা পয়সাও বিস্তর।
বিয়ে-হ্যানিমুন-পিকনিক, এমনকি কোম্পানির নানান দাপ্তরিক সভা-গ্রাহক-কর্মকর্তা সমাবেশ-সেমিনার-গেটটুগেদারও এখন এসব রিসোর্টে হয়। এসব জায়গায় এখন হয় নাটক-সিনেমা-বিজ্ঞাপনের শুটিংও। পুরো এক মায়াবি পরিবেশ।
এমন নাচগানে ভরপুর নানান ব্যবস্থাপনা নিয়ে এসব রিসোর্ট। করোনার কারনে অবশ্য এখন এসব রিসোর্ট ব্যবসায় মন্দাও চলছে। মৌলভীবাজারের অমৌলভী-ঠগ-পলাতক প্রতারক জামাইকে নিয়েও রিসোর্টগুলো এখন পড়েছে পুলিশি নজরদারিতে।
এমন কোন রিসোর্টে শাহেদ লুকিয়ে কিনা এ নিয়েও অনেক অনুসন্ধান হয়েছে গত আটচল্লিশ ঘন্টায়। বাংলাদেশে এখন আবার নানা কারনে সরকারি নানা সংস্থার মধ্যেও সমন্বয় নেই। ভিআইপি প্রতারক শাহেদ ধরার ব্যাপারেও নেই কোন সমন্বয়!
প্রতারক শাহেদকে ধরার ব্যাপারে সন্বয়হীনতার বিশেষ কিছু কারনও রয়েছে। সে কারনে বাংলাদেশ শুনেছে জেনেছে করোনা বানিজ্যের প্রতারক শাহেদ ভারতে পালিয়ে যাচ্ছে কিনা এরজন্যে তাকে খোঁজা হচ্ছিল সীমান্তে।
কিন্তু ভেতরের আরেক খবর ছিল অলরেডি ভারতে পালিয়ে চলেও গিয়েছিল প্রতারক! কিন্তু ভারতীয় কর্তৃপক্ষ তাকে ধরে বাংলাদেশের এক সংস্থার হাতে তুলে দিয়েছে! এমন খবর কিছু সময়ে ছড়ানোও হয়।
শাহেদের এমন খবর সত্য কিনা এটি জানতে এক সংস্থা এক রকম করে খোঁজ-তল্লাশী চালাচ্ছিল। এক্ষেত্রে পুলিশও তেমন একটি সংস্থা। তাদের কাছে সবাই সবকিছু জানতে চায়। কিন্তু তারাই জানেনা সবকিছু!
কারন প্রতিযোগিতা অথবা অন্য কিছু কারনে এখানে এক সংস্থা আরেক সংস্থাকে উর্ধতন কোন একটি ওহী ছাড়া একজন আরেকজনকে মনের কথাও কয়না! এরজন্যে খবরটি নিশ্চিত হতে পুলিশের পক্ষ থেকে কিছু অনুরোধও করা হচ্ছিল।
নিজেদের বিশ্বস্ত সূত্রকে ফোন করে বলা হচ্ছিল, ‘ভাই একটু খোঁজ নিয়ে দেননা ভাই’! প্রতারক শাহেদের ‘ভারতে যাওয়া অথবা ভারত যাওয়ার চেষ্টা’র খবরকে কেন্দ্র করে খোঁজা-খুঁজির বিষয়টি এখনও এই পর্যায়েই আছে।
এখন একটা খবর দারুন চাউর হয়েছে, তাহলো প্রতারক শাহেদ দেশের এক সংস্থার সৃষ্টি! এবং তার এই পতন পর্বটি দুই সংস্থার দ্বন্দ্বের বলি! যারা তাকে ‘রাজনৈতিক বিশ্লেষক শাহেদ’ বানিয়েছে তারাই তাকে বিভিন্ন টকশোতে প্রমোট করছিল।
নিজেকে লুকিয়ে রাখার বিশেষ কিছু শিল্পিত দক্ষতা ছিল তার। জন্মগত প্রতিভার বাইরে এর একটি কারন শাহেদ পড়াশুনা করেছে ভারতের পুনেতে। ভারতের পুনের যেখানে শাহেদ পড়েছে সেটি বিশেষ ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে স্বনামখ্যাত।
সেখান থেকে ভারতের অনেক ভালো এবং বদ চরিত্র অভিনতাও বেরিয়েছে। ভারত-বাংলাদেশ সহ এ অঞ্চলের ছাত্রছাত্রী অথবা নির্মাতারা অভিনয় শিখতে, সিনেমা-নাটক-বিজ্ঞাপন বানানো শিখতে-মিডিয়া কনসাল্টেন্ড হিসাবে দক্ষতা অর্জনে সেখানে যান।
অতএব এই শাহেদ ভারতখ্যাত এমন একটি প্রতিষ্ঠান থেকে পড়াশুনা করা পাকা প্রতারক একজন। বাংলার পাশাপাশি হিন্দি-ইংরেজিতেও ভালো বলতে পারতো। টকশোর টেবিলেও সে ছিল শাসক দলের পক্ষ নেয়া এক দক্ষ অভিনেতা!
তার ফেসবুক পেজে গেলেও যে কেউ চমকে যাবেন! পুরা এই সরকারের সবকিছুর গুনমুগ্ধ একজন ‘সহমত ভাই’! এখন জানা যাচ্ছে তার নানাকিছুর ভিডিও পোষ্ট বানানো পোষ্ট দেবারও তার নির্দিষ্ট বেতনভূক্ত লোকও ছিল।
এখনকার একটি সংস্থা এখন দেশের বিভিন্ন টিভির টকশোর অতিথি তালিকাও ঠিক করে। সব টিভিতে সবক্ষেত্রে এরা সুবিধা করতে না পারলেও চিহ্নিত কিছু টিভির টকশোর বিষয় এবং অতিথি তালিকার পুরো নিয়ন্ত্রন তাদের হাতে।
যেহেতু তারা খামখোর তাই যা বলা হয় তাই তাদের চোখ বন্ধ করতে হয়। শাহেদের মতো কিছু টুলসকে তারা সুবিধামতো কাজে লাগায়। প্রয়োজনে ওঠায়-নামায়। প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে টয়লেট পেপারের মতো ছুঁড়ে ফেলে দেয়।
শুধু প্রতারক শাহেদ না, কিছু টিভির টকশোর এঙ্করও তাদের হাতের পুতুল-নাচের পুতুল। নিয়মিত খাম-প্রজেক্ট নেন বলে মুখ ফুটে কিছু বলতে পারেননা। মিডিয়ার ওয়াকিফহালদের কাছে ‘প্রজেক্ট’ এমন বিশেষ একটি আলোচিত শব্দ-টার্ম।
অনেকে তাদের কাছে ‘প্রজেক্ট’ আনতে যান। অথবা তাদের অফিসে দিয়ে যাওয়া হয় ‘প্রজেক্ট’! এরসঙ্গেও একটি খাম জড়িত। বলা হয় যিনি একবার এমন কোন প্রজেক্ট বা খাম নিয়েছেন, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সেখান থেকে তাদের মুক্তি নেই।
এরজন্য যারা এমন খাম প্রত্যাখ্যান করতে জানেন-পারেন তারাই সাংবাদিকতায় দীর্ঘদিন টিকে থাকেন। তাদের শরীর-স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। বাংলাদেশ ছোট একটি দেশ। মিডিয়া আরও ছোট। কোন কিছুই গোপন থাকেনা।
সরকার আসে সরকার যায়। কিন্তু সংস্থা থাকে। শুধু সরকারের কৌশল-চরিত্র জেনে-বুঝে শুধু শিরোনাম বদল হয়। বাংলাদেশ জিন্দাবাদের জায়গায় তারা জয়বাংলা বসায়। শাহেদের মতো টুলস অনেক প্রজেক্টের মাঝখান থেকেও বাদ যায়।
নতুন টুলস আসে। শট-কাট-এ্যাকশন-রান-গো’ এসব শব্দ-নির্দেশ ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া-ফিল্ম-তথ্য চিত্রের নির্মানের কিছু শব্দ সংশ্লিষ্টদের মুখস্ত। কোন একটি বাক্য বা শব্দ ওলটপালট হয়েছেতো সেখানে ‘কাট’!
শট-কাট-এ্যাকশন-রান-গো’ এসব শব্দ-নির্দেশ কোথায় কিভাবে ব্যবহার হয় তা ওয়াকিফহালরা জানেন। স্মার্ট এ্যাঙ্কর তখন দর্শকদের উদ্দেশে বলেন, ‘তার সঙ্গে আমাদের সংযোগটি সম্ভবত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে’।
‘আমরা আবার তাকে সংযু্ক্ত করার চেষ্টা করছি’। লাইন-মত সব ঠিক হলে সংযোগটি আবার পুনঃস্থাপিত হয়। লাইন-মত সবকিছু ঠিকমতো না মিললে সেদিনের মতো সেই সংযোগটিও হারিয়ে যায়।
প্রতারক শাহেদের সংযোগটিও স্থায়ীভাবে হারিয়ে গেছে। এমন এক প্রতারক শাহেদ যে প্রতারনাকে বাংলাদেশে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছে, তার সাম্প্রতিক মিডিয়া সংযোগ এতোটা প্রগাঢ় হবার কারনও এখন আমার হাতে।
মন্ত্রনালয়ে মন্ত্রনালয়ে তদবির বানিজ্য ছিল তার প্রতারনার বিশেষ মাধ্যম। গত এক-দেড় বছরে শাহেদের সঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের ধান্ধাবাজদের সঙ্গে দারুন একটি সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হাতে পঞ্চাশ কোটি টাকার বেশি প্রজেক্ট সমূহ!
এমন একটি ‘প্রজেক্ট মুলো’ অনেকের নাকের সামনে ঝুলিয়ে ঘুরছিল প্রতারক শাহেদ। এই প্রজেক্টগুলো পাবার মতো টার্গেট প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর আয়-রোজগার মূলত এসব সরকারি প্রজেক্ট নির্ভর।
কিন্তু এখন বাংলাদেশের মিডিয়াও নানান সংকটে ন্বুজ। টেলিভিশনওয়ালারাও এসব প্রজেক্ট পেতে চান! যে করেই হোক তাদের কারও কারও ধারনা হয়ে গিয়েছিল যে শাহেদ তাদেরকে এসব কাজ পাইয়ে দিতে পারেন!
অতএব আমাদের কিছু প্রিয় গুরুত্বপূর্ন চরিত্র লাইন দিয়েছিলেন প্রতারক শাহেদের পিছনে! আর এসব দেখেশুনে আকাশে উড়তে শুরু করেছিল শাহেদ, প্রতারক দ্য গ্রেট! পরিস্থিতির কারনে অনেকের এখন মুখ লুকোনোই কঠিন হয়ে পড়েছে!
এই প্রতারককে নিয়ে এখন নানা প্রশ্ন সর্বত্র। পুলিশ প্রথম সুযোগে তাকে ধরলোনা কেনো? এমন প্রশ্নের উত্তর বলতে গিয়ে একদিনের একটি ঘটনা বললেন একজন। আইজিপির অফিসের নীচে তার অফিসাররা সবাই অপেক্ষায়।
কারন আইজিপি সাহেবের মেহমান আসবেন! আইজিপি অফিসের গাড়ি বারান্দায় এসে একটি গাড়ি থামলো। গাড়ি থেকে নামলো প্রতারক শাহেদ। সেখানে সবাই তখন তাদের আইজিপি স্যারের মেহমানের অভ্যর্থনায় ব্যস্ত হয়ে গেলো!
সেখানে পরিচিত একজনের সঙ্গে হাই-হ্যালো করে আইজিপির কক্ষের উদ্দেশে হেঁটে চলে গেলো আইজিপির মেহমান! সেই হলো এই প্রতারক। তাকে ধরতে হবে কিনা, তাকে ধরা যাবে কিনা তা ভাবতে ভাবতে অনেকের বেশ সময় কেটে গেছে।
এই সুযোগে আপাতত পগাড়পাড় প্রতারক শাহেদ। আরেকটি গুরুত্বপূর্ন প্রশ্ন এখন অনেকের সামনে! যেখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের ফাইলে আছে এই প্রতারকের নাম সে কী করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর চারপাশে এভাবে ঘুরে বেড়ালো আর ছবি তুললো!
এমনকি রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান বন্ধ করতে বিপদের বন্ধুর মতো সে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও ফোন করেছিল! এর কাহিনী শুনে আমি হেসেছি, ভয় পেয়েছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের ফাইলে তার নাম লেখা শাহেদ করিম। এখানে সে মোঃ শাহেদ।
সেই শাহেদ করিম ছিল ক্লিনশেভড। এই মোঃ শাহেদের এক জোড়া গোঁফ ছিল। আর ছিল বঙ্গভবন-গনভবনের ঈদ সংখ্যা সম্বর্ধনায় এক-দু’বার যাতায়াতের সুবাদে তোলা বিশিষ্ট-গুরুত্বপূর্ন চরিত্র সমূহের সঙ্গে তোলা ছবি!
আর এখনতো সে করোনাকালের মানবিক এক চরিত্র। যার হাসপাতালে করোনা রোগীর চিকিৎসা হয়। মিডিয়ার মানুষের চিকিৎসা হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পাঠানো রোগীরও চিকিৎসা করা মহামানব সেজেছিল এই প্রতারক।
এমন নিখুঁত দুই নাম্বারি সে করতে পেরেছে কিভাবে? উত্তর লিখছি। অস্ট্রেলিয়ায় আপনি ঢোকার সময় আপনার নাম-জন্ম তারিখ সহ আপনার নামে যে ফাইল তৈরি হয়ে যাবে সে তথ্য আর কেউ কোথাও বদলাতে পারবেনা।
কিন্তু প্রতারক শাহেদ আঙ্গুল উঁচিয়ে দেখিয়ে দিলো বাংলাদেশ এসব ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত কত বিপদজ্জনক দূর্বল! এখানে শাহেদ করিম অবলীলায় মোঃ শাহেদ হয়ে যেতে পারে! সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকজনের অদক্ষতা-দূর্বলতায় তা রাষ্ট্র টের পায়না!
আর সবকিছুতে সহমত ভাই হতে পারলেতো আর কথাই নেই! আপনি যোগ্য কিনা সেটি দেখার-জানার ব্যবস্থা নেই। মূল যোগ্যতা আপনি সহমত ভাই কিনা! এরা শাহেদের মতো দেশের রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী পর্যন্তও পৌঁছে যেতে পারে!
এটা শুধু বাংলাদেশের গোয়েন্দা ব্যর্থতা নয়, মিডিয়ারও বড়দাগের ব্যর্থতা। কারন এখনও বাংলাদেশেতো চমৎকার চমৎকার অনুসন্ধানী রিপোর্টও হয়। এই প্রতারক বাংলাদেশের সবাইকে ঠকিয়েছে।
পেশাদার গোয়েন্দাদের পাশাপাশি মিডিয়ার অনুসন্ধানী চোখকেও ফাঁকি দিতে পেরেছে প্রতারক দ্য গ্রেট। এমন এক প্রতারককে যারা রাজনৈতিক বিশ্লেষক বানিয়েছে তারা কী শাহেদকে নাই করে দেবে?
না আইনের হাতে তুলে দেয়া যাবে? এটা এখন মিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন। আমার সোর্স বলছে শাহেদ ধরা পড়বে। হয়তো কথা বলতে পারবেনা।