এখনও নিশ্চিত হয়নি তামিমের সাথে কে ওপেনিং করবে। লিটন দাস না সৌম্য সরকার। যদিও লিটন দাস চাচ্ছেন তিনি ওপেনিং করতে এবং ওপেনিংয়ে ব্যাটিং করে তিনি তার সেরাটা দেখাতে চান। কিন্তু এ নিয়ে যখন তোলপাড় হচ্ছে তখন অন্য সবাই সৌম্য সরকারকে সাপোর্ট দিচ্ছে ওপেনিং করার জন্য।
শুধু দর্শক নয়। সৌম্যকে আরো অনেক ক্রিকেটারেরা সাপোর্ট দিয়েছে অর্থাৎ আমাদের দেশের তরুন প্রজন্মের ক্রিকেটাররা। তারা সৌম্যকে নিয়ে অনেক প্রশংসা করেছেন। তারা বলছেন – সৌম্যের দক্ষতা ও যোগ্যতা রয়েছে ওপেনিং করার জন্য। তিনি দক্ষতার সাথে ব্যাটিং করতে পারেন এবং তিনি অনেক বড় বড় দলের সাথে ওপেনিং করে অনেক শতক এবং অর্ধশতক করছেন। ভালো পারফরম্যান্স করে ম্যাচ জিতিয়েও দিয়েছেন অনেক সময়।
আমার মতে, তরুন খেলোয়াড়দের সাপোর্ট দেওয়া উচিত। কারণ আমরা পিছনে ফিরে তাকালে দেখি যে, সৌম্য সরকার ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে একজন নতুন খেলোয়াড় হিসেবে দূর্দান্ত খেলেছিলেন। ২০১৫ সালে পাকিস্তান থেকে শুরু করে ভারত, দক্ষিন আফ্রিকার সাথেও সৌম্য ওপেনিং করেছেন এবং ওপেনিং এ তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন।
এখন হয়তো বলতে পারেন যে, সে তো অনেক আগের পারফরম্যান্স কিন্তু এখন সৌম্য কেন?
এবার আসি তাদের দুজনের পারফরম্যান্সেঃ-
সৌম্য সরকারঃ-
৪৩ ইনিংসে ১৪৬৭ রান,গড় ৩৭ এবং স্ট্রাইক রেট ৯৯.৯৯।
লিটন দাসঃ-
২৮ ইনিংসে ৫৮৪ রান,গড় ২১ এবং স্ট্রাইক রেট ৮৩।
এবার একটু ভাবুন, বিবেচনা করুন, সৌম কেন নয়?
আমার মতে সৌম্যকেই তামিমের সাথে ব্যাটিং করতে দেওয়া উচিত। কারন সৌম্য তামিমের সাথে দীর্ঘদিন খেলেছেন,দেখেছেন এবং তিনি দক্ষতার সাথে ব্যাটিং করেন। ওপেনার হিসাবে দু জনকে ভালো বুঝেন এবং জানেন কখন কি ভাবে সাপোর্ট দিতে হয়।
অন্যদিকে তামিমের সাথে সুযোগ নিতে চান লিটন দাস। মানে লিটন তামিমের সাথে ওপেনিং করতে চান। কিন্তু লিটনকে বারবার সুযোগ দেওয়ার ফলেও লিটন ব্যর্থ হয়েছে। খুব একটা ধারাবাহিকতা দেখতে পারেনি।
হয়তো কিছুদিন আগে, প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে লিটন দাস একটা ভালো ইনিংস খেলছেন। হ্যাঁ,ভালো খেলেছেন।কিন্তু লিটন দাসের আগের পারফরম্যান্স দেখলে আমাদের হতাশই হতে হয়।
টীম ম্যানেজমেন্ট কিছু দিন আগে লিটনকে মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করতে বলেন। লিটন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন তিনি তার সেরাটা দেখাতে চান। তিনি আরও বলেন “এতদিন আমি ইনিংসে ওপেনিং করেছি। এখন আমি নিজেকে মানসিক ভাবে প্রস্তুত করছি নিচের দিকে খেলার জন্য। আমি অনুশীলনও করেছি নিচের পজিশনে যাতে করে আমি যেকোন পজিশনেই খেলতে পারি। এটা এমন নয় যে কেবল তিনজন ক্রিকেটার একটি পজিশনের দিকে তাকিয়ে আছে। স্কোয়াডের ১৫জনই তাকিয়ে আছে। কিন্তু আপনি কেবল ১১ জনই খেলাতে পারবেন। সুতরাং স্বাভাবিক ভাবেই কয়েকজনকে বেঞ্চে বসে থাকতে হবে। তবে আমি আমার সুযোগের জন্য অপেক্ষা করছি এবং সুযোগ পেলে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।”
লিটন দাস বিসিবির কথা মেনে নিয়ে তিনি নিজেকে স্বান্তনা দিয়েছেন এবং তিনি তার সেরাটা দেখাতে চান যেকোনো পজিশনে।
আর এদিকে ক্রিকেট ভক্তরা এখনও এটা নিয়ে সবাই ভাবছে – সৌম না লিটন?
পাঠক আপনার কি মত? নিচে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।
লেখক, ক্রীড়া সাংবাদিক ও সমাজকর্মী