বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভালো খেলেছে বাংলাদেশ। তবে নাটকীয়তা বা অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে ম্যাচটি হেরে গেছে বাংলাদেশ।
এই হারের মধ্যে দিয়ে আবার সমালোচনায় এসেছে উইকেটরক্ষক মুশফিক রহিম।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে যে ভুল করেছেন উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিম।
বল থ্রো করার পর স্ট্যাম্পের উপরে বা স্ট্যাম্পের পিছনে হাত রাখতে হয়।উইকেটরক্ষকদের প্রথমই এটা খেয়াল রাখতে হবে।
কিন্তু গতকাল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে উইলিয়ামসনের রান আউটের সময় তামিম বল থ্রো করার পর মুশফিক বলটি স্ট্যাম্পের আগে ধরেছিল।যার ফলে তার হাত স্ট্যাম্পে লেগে গিয়েছে বল ধরার আগে অর্থাৎ তার শরীরে লেগে বেলস পড়ে যায়। পরবর্তীতে স্ট্যাম্পও তোলেননি। এই বড় একটা ভুলের কারণে আবার সমালোচনায় পরেছে মুশফিক।
টেইলর ও উইলিয়ামসন দলকে টেনে তোলেন ১০৫ রানের জুটি। যদিও শেষ দিকে বাংলাদেশ ম্যাচে ফিরেছিল, কিন্তু জয় পায়নি। জয় পেয়েছে কিউইরা।
কিন্তু ওই রান আউট নিয়ে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা বলেন;-
তার এই রান আউট নিয়ে কোনো আক্ষেপ নেই। মুশফিককে দোষও দিচ্ছেন না তিনি।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেছেন,এটা খেলার অংশ।
রান আউটের সুযোগ হাতছাড়াটা ভুলে হয়েছে।আমাদের মুশফিককে নিয়ে সমালোচনা করা ঠিক হবে না।ভুল সবারই হতে পারে।তাই বলে একজন ভালো পারফরম্যান্সে থাকা খেলেয়াড়কে নিয়ে সমালোচনা করবো।এটা আমাদের কাছে ঠিক নয়।বরং সমালোচনা না করে সবাই উৎসাহের দিকে ফিরে আসলেই ভালো হয়।
এই ধরনের ভুল যে কারো সঙ্গেই হতে পারে।মুশফিক-ওর সর্বোচ্চটা দিয়েই মাঠে চেষ্টা করে।
থ্রো’টা ভালো ছিল। কিন্তু কিপার হিসেবে সব সময়ই এটা ভেবে নেওয়া বা অনুমান করা কঠিন, যে বল স্ট্যাম্পে আছে কিনা। ও বল আগে ধরে স্ট্যাম্পে আঘাত করতে চেয়েছিল। কিন্তু ওর শরীরে লেগে স্ট্যাম্প ভেঙেছিল। এরকম ভুল হতে পারে।
এই ভুলের জন্য তার ওপর সমালোচনা করার কিছইু নেই। আর এমনতো নয় যে এই ভুল ও প্রথম করেছে বা এমনও নয় যে এরপর আর এমন ভুল হবে না।ভুল হতেই পারে।এটা ক্রিকেটেরই অংশ। এখানে আমি কাউকে দোষারোপ করছি না।
মুশফিক যদি কাল এই ভুলটা না করতো তাহলে হয়তো ম্যাচটা আমরাই জিততাম।
কিন্তু তা আমাদের ভাগ্যে নেই।তাই মুশফিক নিয়ে সমালোচনা না করাই ভালো।
আর এমন নয় যে,আমরা বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেছি।আমাদের এখনও অনেক ম্যাচ আছে।আমাদের লক্ষ্য থাকবে সামনের ম্যাচগুলোতে ভালো খেলা।
![](https://batayonbd.com/wp-content/uploads/2019/05/Shahriar-Sagor1.jpg)
লেখক, ক্রীড়া সাংবাদিক ও সমাজকর্মী