বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার ম্যাচে। জয় দিয়ে সূচনা করে টিম বাংলাদেশ। যদি ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রিয় মেনে খেলতে নামে বাংলাদেশ। এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ম্যাচ হারে। জয়ের নেশা একটু বেশিই থাকবে।তবুও টাইগারদের দূর্দান্ত ব্যাটিং ও বোলিং এর কাছে হার মানে। টিম দক্ষিণ আফ্রিকা।
বাংলাদেশের একাদশ সঠিকভাবে সাজানো হয়। টসে সিদ্বান্ত মোতাবেক ব্যাটিং এ নামে টিম বাংলাদেশ। তামিম এর সাথে ওপেনিং কে থাকবে? সেটা নিয়ে ছিলো অনেক সমালোচনা। অবশেষে সমালোচনার বাঁধ ভেঙ্গে। তামিমের সাথে ওপেনিং স্থান পেল সৌম্য সরকার। একাটা দলের জন্য ওপেনিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কথায় আছে – শেষ ভালো যার, সব ভালো তার। এই প্রচলিত কথা ঠিক রেখে তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার তাদের শুরুটা ভালো করে শুরু করেছিল। তামিম একটু ব্যর্থ হলেও। সৌম্য যেন সে ব্যর্থটা কোন মতেই বুঝতেই দেয়নি।
সৌম্য আউট হয়ে ফিরলে তখন দলের পক্ষে হাল ধরে। বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। সাকিব এর সাথে সঙ্গ দেয় মুশফিকুর রহমান।দলের জন্য ভালো একটা জুটি অধিক গুরুত্বপূর্ণ। ভালো একটা জুটি পারে দলের ভাগ্যে পরিবর্তন করতে। সাকিব ও মুশফিক মিলে গড়লেন ১৪২ রানের জুটি। সাকিব ৭৫ রান। মুশফিক ৭৮ রান করেন। তামিম,সৌম্য,মুশফিক,সাকিব,মাহামুদুল্লাহর দূর্দান্ত ব্যাটিং তান্ডবে। ৩৩০ রানের টার্গেট দেয় টিম বাংলাদেশ।
দক্ষিণ আফ্রিকা ৩৩০ রান তাড়া করতে মাঠে নামে। তবে বাংলাদেশ এর দূর্দান্ত বোলিং এর কাছে হার মানে। দক্ষিণ আফ্রিকা। সাকিব, মোস্তাফিজ, মিরাজ, সাইফ উদ্দিন। এর বোলিং এ্যাকশন কাবু করে পেলে টিম দক্ষিণ আফ্রিকাকে। অবশেষে, ২১ রানে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় টিম টাইগার বাহিনী। জয় দিয়ে সূচনা করে স্বপ্নের বিশ্বকাপ। ম্যাচ সেরা সাকিব আল হাসান।
প্রিয় শাহরাস্তি অনলাইন নিউজ এর পক্ষ থেকে। বাংলাদেশ টিমকে জানাচ্ছি প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিন্দন। ১৬ কোটি বাংগালীকে দিয়েছো জয়। ভালোবাসা অবিরাম। স্বপ্নের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়। আশা করি এভাবে জয়ের ধারা অব্যাহত থাকবে।
লেখক, ক্রীড়া সাংবাদিক ও সমাজকর্মী