আমাদের কোয়ারেন্টাইন – ডে – ৫

একদিন দুদিন করতে করতেই  দেখবো ১৪ দিনের বেডা় পার করছি কখন বুঝবোই না, এমন কথা বলতে পারি না, তার কারণ হোটেলের যতই সুবিধা থাক না কেন, তবুও মনে হচ্ছে আমি বন্দি, তবু ভালো যে একটা জানালা আছে … উঁচু বিল্ডিংয়ের ফাঁক দিয়ে আকশকে উঁকি দেই। প্রচুর ঘুম আর খাওয়া, মাঝে মাঝে ফেসবুকে ঢু মারছি, ফোনে জানান দিচ্ছি আমার জিগরি এন্ড ডিয়ারদের কে আমি এসে গেছি !  তবুও সময় যেন কাটে না বলবো না, কেটে যাচ্ছে, অন্যভাবে, অন্য রুটিনে অন্য ভোজনে, অন্য আসনে, অন্য ভাষণে।

তবুও কাটছে দিন, কিছুটা সংকায় কিছুটা ভয়ে, কি জানি কি হয়, কার বা কি হলো, কোথায় কি হলো … এই করেই। পৃথিবী শান্ত না অশান্ত জানি না, তবে মানুষের জীবন এখন খাঁচা বন্দি। শিল্প সাহিত্যের ভাষা বদলে গেছে, মানুষের অনুভূতি পাল্টে গেছে। কেমন যেন হয়ে গেছে সব।

আজ ঠিকআগের মতোই সময় পার করেছি, প্রচুর ফটোসেশন করেছি, বেবীরা টিকটক করে বিজি ছিল, সারা বিকেল দু বোন মিলে পিগি ব্যাক করে নেচে গেয়ে সময় কাটিয়ে দিয়েছে, গাড়িয়াল ভাই মাঝে মাঝে চিৎকার পাশের রুম থেকে … রায়ার মা শুনছো এই হইছে সেই হইছে …. কত খবর শুনি, এখন তো খবর ময় দুনিয়া।

আমাদের করোনা টেষ্টের রেজাল্ট আজও দিলো না।

তবে মরিস ভাই আজ ইন্ডিয়ান চিলি চিকেন আর ভাত দিয়েছিল।

কিন্তু আমরা আজ বাংলা হোটেলের মাছ ভাত খেয়েছি।

আহা !

আপন দেশের খানা
খাইতে করছে মানা
বলছে,যদি ভাতে আসে করোনা।
কিন্তু আমরাও ছাড়বার পাত্র না

যেমন করেই হোক খাবই খাবো বাংলা খানা।