আকারের আত্না

দেশের প্রায় সকল নগরীর মধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় ডাস্টবিন রয়েছে। যেখানে আপনি-আমি ফিরেও তাকাই না। দূর্গন্ধজনক ঐই জায়গাটিকে আমরা পাশ কাটিয়ে চলে আসি। অথবা পাশ দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় হাতের আঙুল নাক স্পর্শ করে চলতে থাকি। অথচ এই নোংরা ডাস্টবিনই কিছু পথশিশুর আনাগোনা থাকে। ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া আমাদের বাড়তি খাবারই তারা বেছে নেয় তাদের খাদ্য হিসেবে।

এগুলোই তাদের বেঁচে থাকার রস। কিন্তু ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া বর্জ্য খাদ্যগুলোর মাঝ থেকে তুলনামূলক ভালো খাবার গুলো ডাস্টবিনে না ফেলে সুন্দর করে প্যাকেজ করে তাদের হাতে দিলে কি কোনো মহা-ভারত অশুদ্ধ হয়ে যায়? না কখনোই না। মানুষকে সাহায্য করতে অঢেল টাকার মালিক হওয়া লাগে না লাগে শুধু একটি বড় আকারের আত্না।

হাজারো পথশিশুর রাত কাটে ফুটপাত-রেলস্টেশন-বা কোনো ওভার ব্রিজের তলায়। শীতকালে আমরা যখন গা গরম করা লেপ-তোষকের নিচে গভীর ঘুমে আছন্ন থাকি তখন এই হাড়কাঁপানো প্রচন্ড শীতে হাজারো আশ্রয়হীন ভাসমান মানুষের কাটছে নির্ঘুম রাত। আমরা কি কখনো অসহায় মানুষগুলোর জায়গায় নিজেকে রেখে এই প্রচন্ড শীতে রাতযাপনের কথা কল্পনা করেছি? করেনি। কারণ, এই সমাজ ব্যবস্থা আমাদেরকে বিষয়গুলো নিয়ে ভাবতে শেখায় না। চার-দেওয়ালের মধ্যে আরাম-আয়সে রাত কাটানো ধনাঢ্যদের শীতার্ত পথ শিশুদের করুন অবস্থা বুঝার ও নয়।

অথচ আরাম-আয়েশ নয় বরং মানবতাবোধেই প্রকৃত শান্তি, অপরের জন্য কিছু করার মধ্যেই আছে প্রকৃত মুক্তি।তাই, আসুন নিজেদের সাধ্যমত চেষ্টা করি এই পথশিশুদের পাশে দাড়ানোর। তাহলেই তো এই সুন্দর ভূবন হয়ে উঠবে আরো সুন্দর।