১৬ কোটি মানুষের মুখে হাসি ফোঁটাতে পারবে বাংলাদেশ?

বাংলাদেশ।দেশটা খুব ছোটও হলেও এর রয়েছে বিভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতা। একসময় বাংলাদেশ ক্রিকেটে অনেক পিছিয়ে ছিল।বিশ্বের সকল দেশ বাংলাদেশকে ক্রিকেট খেলায় কোনো পাত্তাই দিতো না। বরং সব সময় তারা এড়িয়ে চলতো।কিন্তু আজকের এই বাংলাদেশ এখন কোথায়?

সারা বিশ্ব কাঁপাচ্ছে।সারা বিশ্ব জানে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলটা কি জিনিস। বিশ্বের বড় বড় ক্রিকেট টিমরা এক সময় যে বাংলাদেশকে এড়িয়ে চলতো আজ সেই বাংলাদেশ কোথায়?

অবাক হচ্ছেন তাই না? মেনে নিলাম আমাদের যতো দুর্বল ভাবুক না কেন আমরা আজ শক্তিশালী এবং সাফল্যের পথে যাবো। ইনশাআল্লাহ।

দলটি আমাদের যেমন আনন্দ দিয়েছে। তেমনি দিয়েছে দুঃখ-বেদনা।যাক,দুঃখ-বেদনা আসতেই পারে।আমাদের একটা কথা মনে রাখা উচিত যে,দুঃখের পরেই আসে সুখ।

আসা যাক সেই পুরোনো দিনের কথায়। এশিয়া কাপ ২০১২ সালে বাংলাদেশ অনেক ভালো খেলেছিল। পুরো বিশ্বকে কাঁপিয়ে তুললে। অনেক ভালো খেলার পরও হেরে গেল।অর্থাৎ ঐ দিন ফাইনাল ম্যাচে বাংলাদেশ অনেক ভালো খেলেছিল।কিন্তু তবুও সবার একটু বিষন্নতা রয়ে যায়।মাত্র ২ রানে হারা।এইতো অনেক কষ্টের ব্যাপার।

এবার আসি ২০১৮ সালে শ্রীলংকায় অনুষ্ঠিত নিদাহাস ট্রপির কথায়। জয়ে জয়ে এবারো ফাইনালে হেরে গেল প্রাণের দেশ বাংলাদেশ।সবাইর মনে শুধু একটাই কথা;আর কত হারবো? হারতে হারতে মনের আরো বিষন্নতা বেড়ে যাচ্ছে।

এবার শুরু করা যাক,এই বছরে আয়ারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ত্রি-দেশীয় সিরিজের কথা। এক অবিশ্বাস্য কাণ্ড ঘটিয়ে দিলো বাংলাদেশ। অর্থাৎ ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে ফাইনাল ম্যাচ জয় নিয়ে ফিরলো দেশে। এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ কোনো ত্রি-দেশীয় সিরিজে চ্যাম্পিয়ন হলো।

খুব খুশি লাগে তাই না? লাগবেই তো প্রথমবারের মতো কোনো সিরিজ জিতা আমাদের জন্য এটা অনেক মূল্যবান। সত্যি আমার অনেক খুশি লাগছে।বিশ্বকাপের আগেই বাংলাদেশ ত্রি-দেশীয় সিরিজে চ্যাম্পিয়ন।

এবার টার্গেট ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ। বিশ্বের সকল দেশই আমাদেরকে অনেক ছোট করে দেখছে। আচ্ছা প্রত্যেকটা দেশি যদি বিশ্বকাপ জয়ের আশা করতে পারে তবে আমরা পারবো না কেন?আমরা কি এমনি এমনি আসছি বিশ্বকাপে। আমরাও তো সবাইর সাথে লড়াই করে বিশ্বকাপে পা রেখেছি।

অতএব,আমাদেরও একটাই স্বপ্ন,আশা আর সেটা হলো এবারের বিশ্বকাপ জয়।
হ্যা,অবশ্যই সম্ভব হবে আমাদের কাছে বিশ্বকাপ জিতা।

আমার মতে, এবার বিশ্বকাপে আমাদের অনেক সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে। কারণ এই বিশ্বকাপ প্রত্যেক বিশ্বকাপ থেকে আলাদা একটা আসর। অন্যান্য বিশ্বকাপে যেমন গ্রুপে খেলা হতো।কিন্তু এই বিশ্বকাপ সব থেকে আলাদা। হ্যা, এটাই ভালো।কারণ গ্রুপ সিস্টেমে খেলা হলে দর্শকের মাঝে অনেক সমালোচনা থেকে যায়। যেমনঃ-এই গ্রপে সহজ দল আর ঐ গ্রুপে কঠিন দল।ঠিক এমন। কিন্তু এই বিশ্বকাপ হবে খেলার মতো খেলা।প্রত্যেক দলের সাথে প্রত্যেকের সাথে খেলা।

এবারই বুঝা যাবে কে সহজ আর কে কঠোর।অর্থাৎ আমাদের দেশকে এই সুবর্ণ সুযোগ অবশ্যই কাজে লাগাতে হবে।

এখন বলতে পারেন যে আমি কেন সুবর্ণ সুযোগ বলছি? কারণ আমাদের অনেক রেকর্ড আছে। আমরা এখানে প্রত্যেকটা দলকেই হারিয়েছে।প্রত্যেকর সাথে লড়াই করেছি। এই “বাংলার বাঘ”-কে একসময় যারা কিছুই মনে করতো না তারাই আজকে এই বাংলার টাইগারকে ভয় পাচ্ছে।

এখন বলতে পারেন কেন ভয় পাচ্ছে সবাই “বাংলার বাঘ”-কে? কারণ আমরা আর আগের মতো নয়,আমরা এখন ” বাংলার বাঘের”- মতো লড়াই করি।তাই প্রত্যেকটা দেশই এখন আমাদের একটু হলেও ভয় পাচ্ছে।

এই ১৬ কোটি মানুষের মনে শুধু একটাই কথাই শুধু জাগ্রত হয়ে উঠে “এবারের বিশ্বকাপ শুধু আমাদের”। সকলের মনেও এখন “মাশরাফি বাহিনীর”-কথা।প্রত্যেকটা মানুষই এখন তাদের উপর ভরসা করছে। ভরসা করছে তাদের সেই স্বপ্ন ” বিশ্বকাপ”- কোনদিন বাংলার মাটিতে আসবে এই “ক্রিকেট বিশ্বকাপ”-কোনদিন সবাই মিলে একত্রে রাস্তায় মিছিল করবো এই বিশ্বকাপে জয়ী হয়ে।

অবশ্যই একদিন বিশ্বকাপ আসবে আমাদের এই বাংলার মাটিতে। এই আশায় তো আজ মাশরাফি বাহিনীরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। শুধু একটাই আশা এই বাংলার মানুষের মুখে হাসি ফোঁটানো।আর এই বাংলার মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই তো তাদের মূল উদ্দেশ্য।

হে আল্লাহ!তুমি আমাদের সাথেই থাকো – আমরা যেন আবার “বিশ্বকাপ”-জয়ী হতে পারি । এবার “বাংলার বাঘ”-রাই বিশ্বকাপ জয়ী হয়ে দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাবে।
” ইনশাল্লাহ”

জিতবে টাইগার,দেখবে টাইগার,খেলবে টাইগার,বলবে টাইগার-আমরাই “বাংলার টাইগার”।